সারাদেশ
  প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু, যেভাবে চলবে প্রাথমিকের ক্লাস
  02-03-2022
আজ বুধবার (২ মার্চ) প্রাথমিক স্তরের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়েছে। এদিন থেকে পুরোপুরি সব শ্রেণির ক্লাস চলবে স্বাভাবিকভাবে। তবে আরও দুই সপ্তাহ করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রাক-প্রাথমিক (প্লে, নার্সারি, কেজি) স্তরের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আনা হবে।
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সব বিদ্যালয় দুই পালায় পরিচালিত হবে। তবে কোনো সমাবেশ হবে না। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে আসা নিরুৎসাহিত করতে হবে। টিকা দেওয়া ছাড়া কোনো শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারবেন না।
 
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২ মার্চ থেকে স্বাভাবিক সময়ের মতো প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির সব ক্লাস নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরানোর বিষয়টি নিশ্চিত করবেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
 
করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। 
 
কিন্তু নতুন করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করে সরকার, যা ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিল। 
 
এর মধ্যে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ২২ ফেব্রুয়ারি খুলে দিলেও প্রাথমিকের ছুটি ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো প্রথমে ১ মার্চ খোলার ঘোষণা দেওয়া হলেও এদিন শবে মিরাজ হওয়ায় তা এক দিন পেছানো হয়।
 
চলতি বছরের শুরুতে নতুন উদ্যমে স্কুলে ভর্তি হয় ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সেখানে বাধা আসে করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন। বাধ্য হয়েই সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।বিধিনিষেধ স্বাভাবিক হওয়ায় প্রায় দুই মাস পর দেড় কোটি শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
 
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা না থাকায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের এখনো টিকার আওতায় আনা যায়নি। তবে এরই মধ্যে ১২ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেখছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেলে তাদেরও টিকার আওতায় আনা হবে।
আর বিধিনিষেধ স্বাভাবিক হওয়ায় অভিভাবকদের মনেও কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে এমনটাই লক্ষ করা গেছে।নতুন করে যদি আর কোন বিধি নিষেধ না আসে তবে এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে আবারও স্বাভাবিক জীবনে পা রাখতে পারবে বলে অনেকেই মনে করছে।
 
তবে এদিন সকাল থেকেই উপজেলা গুলোর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উৎসব মুখর পরিবেশে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে শিক্ষকমণ্ডলী ও শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।