সারাদেশ
  মেঘনার জোয়ারের পানিতে রামগতি ও কমলনগরে ব্যাপক ভয়াবহতা
  12-08-2020
মোঃ দেলোয়ার হোসেন রামগতি ( লক্ষীপুর)  ঃ
 
লক্ষীপুরের রামগতিতে মেঘনার ভাঙন ভয়াবহ রুপ ধারণ করছে।মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কিছুদিন যাবৎ চলছে ভাঙনের এ ভয়াবহতা।
মেঘনার ভাঙনের কবলে পড়ে রামগতির হাট,বিবির হাট,আসলপাড়া, বালুরচর, মুন্সীর হাট, জনতা বাজার ও পাটওয়ারীর হাটসহ কতিপয় সরকারি ও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপকূলীয় অন্ঞলে হওয়ায় সম্পূর্ণ নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। এতে করে হাজার হাজার শিক্ষার্থী র শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ঐ সমস্ত উপকূলীয় এলাকায় নিত্য জোয়ারের পানির চাপের কারণে ব্যাহত হচ্ছে আবাদি জমির ফসলাদি।
উল্লেখ্য গত ৫/৮ বুধবার বিকেলে মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে রামগতি ও কমলনগরের হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়।
 
এমনকি না খেয়ে তাদেরকে রাত্রি যাপন করতে হয়েছে।কিছু সংখ্যক গবাদিপশু( গরু, ছাগল) অন্যত্র সরাতে পারলে ও রেহায় পায়নি  মাছের প্রজেক্ট ও হাঁস মুরগির খামার গুলো। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল কোটি টাকার ও বেশি বলে খামার মালিক গণ জানান।
 
এদিকে দিনে কমল নগরের খামার মালিক মোঃ ওসমানের তাজ লেয়ার মুরগির খামারে  ৬০০০ ডিম দেওয়া মুরগি জোয়ারের পানিতে পানি বন্ধী হয়ে সবগুলো মারা যায়। এতে ওসমানের আনুমানিক ৩৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
 
এদিকে আসলপাড়া, জনতা বাজার,পাটওয়ারীর  ও কমলনগরের উপকূলবর্তী এলাকায় কোন বেড়ী বাধঁ না থাকায় প্রতিনিয়ত অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি৫/৬ ফুট বেড়ে নিম্নান্চল প্লাবিত হয়।
মানুষ পানিবদ্ধী হয়ে তাদের দুর্বিসহ জীবন যাপন করতে হয়।
 
এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্থানীয়দের অর্থায়ানে প্রথমে তারা জংলাবাধঁ দেন এবং স্থানীয় এমপি মহোদয়ের প্রচেষ্টায় সেখানে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের উদ্যোগ েনেয়া হয়।
 
কিন্তুু তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙনের মাত্রা এতো বেশি বেড়ে গেছে যে,হাজার হাজার মানুষের  বসতবাড়ি ও সরকারি ভবন গুলো রক্ষা করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
 
স্থানীয় মহলের দাবি একটায় সরকারের কাছে মাননীয় প্রধান মন্রী আপনি আমাদের মাতৃভূমি কে রক্ষা করেন।আমাদের এ সব উপকূলীয় অন্ঞলের টেকশয় বেড়ী বাধ নির্মাণ করে আমাদের কে সস্তি মতো থাকার ব্যবস্থা করে দিন।
 
এ পর্যন্ত ১৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান  নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
মেঘনার ভাঙন প্রতিরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৯ ইসিবি,আলেকজান্ডার উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পশ্চিম দিকে ব্লক বাধঁ নির্মান  করছে। যাহার ফলস্রুতিতে ঐ এলাকাটি নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পায়।
 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মোমিন জানান,কিছুদিন আগে পাউবির সচিব মহোদয় ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আশা করি ইনশাআল্লাহ অল্প সময়ের মধ্যেই  আমরা একটা ফলাফল পাবো।