মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে সাবেক সিনিয়র সচিব নাছিমা বেগমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কমিশনে একজন সার্বক্ষণিক সদস্য এবং পাঁচজন অবৈতনিক সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে ২২ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় (লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ) থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নবনিযুক্তরা ২৩ সেপ্টেম্বর কাজে যোগদান করেন। নতুন নিয়োগ পাওয়া চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম কমিশনের সদ্যবিদায়ী চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুলের হকের স্থলাভিষিক্ত হলেন। কমিশনের অপর সদস্যরা হলেন- সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ (সার্বক্ষণিক), অ্যাডভোকেট তৌফিকা আফতাব, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম, জেলা ও দায়রা জজ মিজানুর রহমান খান এবং সাবেক সচিব ড. নমিতা হালদার। তিন বছর মেয়াদে নবনিযুক্ত মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির মর্যাদায় বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি পাবেন। অবৈতনিক সদস্যরা কমিশনের সভায় যোগদানসহ অন্যান্য দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য কমিশনের নির্ধারিত হারে সম্মানী ও ভাতা পাবেন। নাছিমা বেগম সর্বশেষ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ছিলেন। এর আগে তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত ২ আগস্ট কাজী রিয়াজুল হকের তিন বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের পদটি শুন্য হয়। এরপর থেকে গত ৬ আগস্ট পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সার্বক্ষণিক সদস্য মো. নজরুল ইসলাম।গত ১৯ সেপ্টেম্বর কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে নিয়োগ সংক্রান্ত বাছাই কমিটির বৈঠকে এই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বাছাই কমিটিরপ্রধান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হয়। ২০১০ সালের ১৪ জুলাই সংসদে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন পাস হয়।
মানবাধিকার খবরের অভিনন্দন : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে সাবেক সিনিয়র সচিব নাছিমা বেগম যোগদান করায় মানবাধিকার খবরের সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, বিশে^র অনেক দেশের ন্যয় বাংলাদেশেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটছে। ফলে, মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমি বিশ^াস করি, সরকারের একজন অভিজ্ঞ এবং উচ্চ পদের কর্মকর্তা হিসেবে নাছিমা বেগম নতুন পালনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন।
|