মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সৃষ্টিশীল নারী নেতৃত্বের একশজনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। দীর্ঘদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞ হিসেবে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর পরিচালিত `ফাইভ অন ফ্রাইড্রে` মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা, প্রতিরোধ ও সচেতনতামূলক অবদানের জন্য কাজ করা নারী নেতৃত্বের তালিকা তৈরি করে। সায়মা ওয়াজেদ, বাংলাদেশে পুতুল` নামে পরিচিত। বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন তিনি। সেই সঙ্গে তার পরিচালিত সূচনা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্যানেলে থেকেও কাজ করছেন। পুতুলের উদ্যোগেই ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অটিজমের মতো অবহেলিত একটি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় যেখানে তৎকালীন ভারতের সরকারে থাকা কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী অংশ নেন। তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশে `নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজ্যাবিলিটি ট্রাস্ট অ্যাক্ট ২০১৩` পাস করা হয়। সেই সঙ্গে তার দেওয়া পরামর্শের উপর ভিত্তি করেই জাতিসংঘ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়। মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম নিয়ে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ২০১৪ সালে সায়মা ওয়াজেদকে `এক্সেলেন্স ইন পাবলিক হেলথ অ্যাওয়ার্ড` দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যাবলীতে অটিজমের বিষয়টি তিনিই সংযুক্ত করেন। বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ক বিভিন্ন নীতিনির্ধারণে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে অটিজম বিষয়ে `শুভেচ্ছা দূত` হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ কাজ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি ইউনিভার্সিটি থেকে `স্কুল সাইকোলজি` বিভাগে বিশেষ ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর একজন ট্রাস্টিও। গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রাম কনসর্টিয়াম` প্রকাশিত একশ সৃষ্টিশীল নারী নেতৃত্বের তালিকা গুরুত্ব অনুসারে প্রকাশ না করে বর্ণানুক্রমে প্রকাশ করা হয়েছে।
|