আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো সরব জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণও। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক দল প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবিসহ ভারতের আগ্রাসন প্রতিরোধ, আবরারের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা ইত্যাদি দাবিতে সরব ছিলেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারী সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে ছিল গণফোরাম, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশসহ (এ্যাব) আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘দেশের ছেলেদেরকে পশুতে পরিণত করা হচ্ছে। ভয়াবহ একটা অবস্থা। এটা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। আসুন আমরা দলমত নির্বিশেষে এ কাজের জন্য এগিয়ে যাই।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের মানববন্ধনে যোগ দিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হবে। সন্ত্রাসী দল হিসেবে ছাত্রলীগ জাতির জন্য কখনোই মঙ্গলজনক না।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সব সমস্যার মূল উৎপাদনকারী দেশ ভারত। এই দেশটিই সব সমস্যা একের পর এক তৈরি করছে। মনে হতে পারে, রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমার করেছে, কিন্তু না। রোহিঙ্গা সমস্যার মূল উৎপাদনকারী দেশ ভারত।’
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আবরারকে হত্যার অভিযোগে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা ও সংগঠনটি নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।
|