খেলাধুলা
  আজ মুখোমুখি ইংল্যান্ড-দঃ আফ্রিকা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে
  30-05-2019

বিশ্বকাপের ঠিক আগে দল দুটি ঠিক বিপরীতমুখী অবস্থানে আছে। একদিকে ইংল্যান্ড দলটা এবারের আসরের অন্যতম ফেভারিট দল। আর স্বাগতিক দল বলে তাদের ওপর নজর অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি থাকবে। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে তাই আকাশ সমান চাপ নিয়েই মাঠে নামবে ইয়ন মরগ্যানের দল।

তাদের প্রতিপক্ষ আজ দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্য যে কোনো সময়ে ফেভারিটদের তালিকাতে থাকলেও এবার তাদের নিয়ে তেমন একটা আলোচনা নেই বললেই চলে। যদিও, প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নে বিভোর এই দলটিও। তবে, মূল মঞ্চে পারফর্ম করতে না পারার আক্ষেপ তাদের বহুদিনের। ফলে, আজকের ম্যাচে তাদেরও চাপের কোনো কমতি নেই।

১৯৯২ সাল থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফেভারিট না হয়েও, সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারে তারা। এরপর আরো ছয়টি বিশ্বকাপে অংশ নেয় প্রোটিয়ারা। প্রতিটি বিশ্বকাপের ফেভারিটের তকমা গায়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সেরা খেলোয়াড় স্কোয়াডে রেখে, খেলোয়াড়দের সেরা ফর্ম নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু কোনো বারই সাফল্যে নিজেদের রঙিন করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়াটাই এখন অবধি দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা অর্জন। চার সেমিফাইনালে পৌঁছে প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে তারা। সর্বশেষ ২০১৫ সালে যেমন হেরেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের খুব বাজে একটা স্মৃতিও এই ইংল্যান্ডের মাঠেই। সেটা ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের কথা। সেই আসরে বার্মিংহামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টাই হওয়া ম্যাচটি রীতিমতো ক্রিকেট ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। চাপের মুখে প্রোটিয়ারা কতটা ভেঙে পড়ে তারই প্রমাণ সেই ম্যাচটি। আজকের ম্যাচ দিয়ে সেই স্মৃতির জুজু কাটাতেই মাঠে নামবে ফাফ ডু প্লেসির দল।

ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম তিনটি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই ইংল্যান্ডে। এরপর সর্বশেষ ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপেরও আয়োজক ছিল ইংল্যান্ড। ২০ বছর পর ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফিরেছে ইংল্যান্ডে। যদিও, গেল ১১টি বিশ্বকাপে কখনোই শিরোপা জেতা হয়নি ক্রিকেটের আঁতুরঘরের। ইয়ন মরগ্যানরা এবার দেশের মাটিতে বিশ্বকাপে সেই আক্ষেপ আর রাখতে চান না। ম্যাচের আগে ইংলিশদের জন্য ‘সুসংবাদ’ হলো ইনজুরির কারণে ম্যাচটিতে খেলা হচ্ছে না ডেল স্টেইনের। ম্যাচের আগে অনুশীলনেই এই খবরটা নিশ্চিত করেন প্রোটিয়াদের কোচ ওটিস গিবসন। তিনি বলেন, ‘স্টেইন এখনো ম্যাচ খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। এটা একটা ছয় সপ্তাহের লম্বা টুর্নামেন্টে। প্রথমেই ওকে আমরা বাড়তি চাপ নেই। তবে, সামনের ম্যাচগুলোতে ও অবশ্যই খেলবে।’

মুখোমুখি লড়াই

মোট ম্যাচ ৫৬

ইংল্যান্ডের জয় ২৬

দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ২৯

টাই ০১