অধিকারের প্রতিবেদন
  রোহিঙ্গা গণহত্যা সমাধান কতদুর? দায়এড়াতে পারে না বিশ্ব সম্প্রদায়
  01-09-2018

নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী ও দশ অস্থায়ী সদস্যের প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা, পর্যালোচনা ও সমাধানের উদ্দেশ্যে তিনদিনের বাংলাদেশ সফর করে গেলেন। এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ আন্তর্জাতিক কোন ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের সকল সদস্য দেশের কোন সংকটস্থলে যাওয়ার ঘটনা বিরল। তাই আশায় বুক বেঁধে আছে নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে আসা এবং স্বজন-প্রিয়জন হারানো, আতঙ্কিত, নিষ্পেষিত, নির্যাতিত ও ধর্ষিতা বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা। বাংলাদেশও একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের অপেক্ষায় আছে।
প্রতিনিধিদল ৩০ এপ্রিল ২০১৮ মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। যাওয়ার পূর্বে বাংলাদেশকে তারা জানিয়েছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকবে রোহিঙ্গা ইস্যু। তবে দ্রুত এর কোন সমাধান নেই। এটি একটি মানবিক সংকট ও মানবাধিকার ইস্যু। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তারা কাজ করবেন। নৃসংশতার দায়ে মিয়ানমারকে জবাবদিহিতায় আনার উদ্যোগে চীন ও রাশিয়া বাঁধা বলেও তাদের কাছ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। যদিও ঐ দুই দেশেরই সদস্য ছিলেন প্রতিনিধি দলে। তাই তারা এটাও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, নিরাপত্তা পরিষদকে নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী না হতে। এতবড় গুরুত্বপূর্ণ সফর, বিশ্বসংস্থার এত শক্তিশালী একটি দল রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে, তাদের কান্নার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করার পরেও যদি এ ধরনের বার্তা হয় তাহলে নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষ কোথায় যাবে, কার কাছে বিচার চাইবে?
প্রতিনিধিদল মিয়ানমারের রাজনৈতিক ও সেনানেতৃত্বের বিপরীতমুখী অবস্থান দেখলেন। তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি বললেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে তার সরকার তৈরি।