সম্পাদকীয়
  ঈদুল ফিতর ঈদের আনন্দ হোক সার্বজনীন ।
  13-06-2018

সম্পাদকীয়
ঈদুল ফিতর
ঈদের আনন্দ হোক সার্বজনীন ।
ইসলাম ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় দুইটি উৎসবকে মধ্যে একটি হলো ঈদুল ফিতর।২য় টি হলো ঈদুল আজহা দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনা রোজা পর পালিতহয় ঈদুলফিতর। ঈদ এসেছে, সঙ্গে এনেছে শান্তি আর আনন্দের সওগাত। সব ভেদা ভেদ ও পরিচয় ভুলে সেই দিন মানুষ কেবল একে অপরকে বুকে জড়াবে। কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আজ ভুলে যা সব হানাহানি, হাত মেলা হাতে’। এই আয়োজন তো জীবনেরই উয্যাপন। ঈদের এই আনন্দ আমরাও ভাগ করে নিতে চাই আমাদের প্রিয় পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্টসহ সব শুভানুধ্যায়ীর সঙ্গে। সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
এই উৎসব জীবনকে নতুন করে রাঙানোর উৎসব। সব সংকীর্ণতা ও ভেদাভেদ ভুলে একে অপরের সঙ্গে মিলিত হওয়ার উৎসব। পরস্পরের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হয়ে ওঠার এক মহান উপলক্ষ ঈদ। ঈদের আগমনী সুরেও বেজে চলেছে মানুষে মানুষে মিলনের এই আকুতি। তাই মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ সব ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের প্রতিবেশীদের নিয়ে তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব বরণের জন্য প্রস্তুত।
ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে কর্মজীবী মানুষের বাড়ি ফেরায় প্রতিবছর বেশ ভোগান্তির সৃষ্টি হয় যানবাহনের অপ্রতুলতার কারণে। ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন ও বাড়তি বগি সংযোজন করার পরও অনেক মানুষকে ট্রেনের ছাদে চড়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। রমজানে দ্রব্যমূল্য আগেরবারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রিত ছিল। দেশে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক উত্তেজনা ছিলনা; আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বছরের অন্যান্য সময়ের মতোই , বিশেষ উন্নতি ঘটেনি।
সামাজিক উৎসব সমাজের সবার অংশগ্রহণ ছাড়া সুন্দর হয় না। মানুষে মানুষে মিলনের উৎসব যখন আসে, তখন আমাদের এটাও ভাবতে হয় যে, আমাদের দেশে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মানুষে মানুষে বৈষম্য প্রকটতর হচ্ছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে বিপুলসংখ্যক মানুষ। খুবই স্বল্পসংখ্যক মানুষের হাতে পুঞ্জীভূত হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থবৃত্ত। ঈদের সর্বজনীনতার পথে এই বৈষম্য পথের কাঁটা। গত ....চট্টগ্রাম সাতকানিয়ায় ইফতারি সামগ্রী নিতে গিয়ে পদতলিত হয়ে ১০ নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এটা কি ছিল অবেবস্থাপনা, না অভাবী মানুষের ঢল । কোনটা আমাদের কাম্য নয় । ঈদ আমাদের সামষ্টিক জীবনে যে মিলন ও শুভবোধের চর্চার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, তা সঞ্চারিত হোক সবার প্রতিদিনের জীবন যাপনে। ঈদ নিছক আনুষ্ঠানিকতা নয়, জীবনকে নবায়ন করার আহ্বান।
ঈদে প্রবাসীরা দেশে ফিরতে আকুল হয়, শহরবাসী গ্রামে ফেরায় রোমাঞ্চ পায়, একাকী মানুষ বন্ধুমহলের সঙ্গে মেলার জন্য ব্যাকুল হয়। অনেক ভোগান্তি শেষে নিজ প্রাঙ্গণে প্রিয়জনের আলিঙ্গনের সুখ উপভোগ করে। এই সুযোগ থেকে কেউ যাতে বঞ্চিত না হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
বিশ্ব মুসলিমের এই উৎসবে ধরণী সজীব হবে, যেখানেই তারা থাকবে, সেখানেই ঈদ উৎসবের পবিত্র সৌন্দর্যে অপরের মনের প্রীতি আদায় করে নেবে, এটাই কাম্য। ঈদ আমাদের সমষ্টিক জীবন নিছক আনুষ্টানিকতা নয় ,ঈদ হোক জীবনকে নবায়ন করার আহ্বান । ঈদের আনন্দ হোক সার্বজনীন ।
শিয়ার মত জায়গায় পবিত্র রমজান মাসে মুসলিম