সারাদেশ
  দৌলতপুর বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপর্কমের অভিযোগ
  13-06-2018


॥রেজাউল করিম, দৌলতপুর॥
মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেন তোতার বিরুদ্ধে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ প্রকাশ, দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউপি বাশাইল গ্রামের ছামাদ মওল ও স্ত্রী জহুরা বেগম, ছবুর উদ্দিন, ইসলামপুর গ্রামের মোঃ ফরিদ হোসেন, আব্দুর রহিম, শ্রী পদ্মা, ছামাদ বলেন, আমরা দুর্গত এলাকার হতদরিদ্র মানুষ।
ঘরের অভাবে বৃষ্টিতে বিজে অতিকষ্টে মধ্যে দিয়ে বসবাস করছি। চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন ও তার কিছু লোকজন দিয়ে ঘর দেওয়ার কথা বলে সে নিজেও ঘুষ বাবদ ১৫/২০ হাজার করে টাকা অন্যান্য লোকদের কাছ থেকে প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তার পরম আত্ময়ী দুলাল বেপারী ছেলে রাসেল হোসেন।
ফরিদ হোসেন, ছবুর উদ্দিন আরো বলেন, যে ঘর দিবে ৩/৪ লক্ষ টাকা মূল্য সেখানে ১৫/২০ হাজার টাকা ঘুষ তো দিতেই হয়? আমরা অতিকষ্টে করে দিনমঞ্জু খেটে ধার সুদে টাকা যোগাড় করে ঘুষ দিয়েছি চেয়ারম্যান ও তার লোকজনকে।
মনছের উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার, ফরিদ, আজিজ বেপারী, শহিদুল জানান কয়েকদিনের মধ্যে ঘর পাবে কথা থাকলেও আজ ৪/৫ মাস অতিবাহিত হলেও ঘরের কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না, বলে জানায় অভিযোগে প্রকাশকারী বাশাইল গ্রামের সাবেক মেম্বার মজিবুর রহমান, ইসলামপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার জাবেদুর রহমান, মোঃ হালিম মন্ডল, এস এম সোহরাব শিকদার, জাহাঙ্গীর আলম, হাসান আলীসহ অনেকেই নাম প্রকাশ না করে শর্তে জানায়, দুলাল বেপারী হল চেয়ারম্যানের গভীর আত্মীয়। তাই তিনি প্রতিনিয়ত চেয়ারম্যান সাহেব দুলাল বেপারীর বাড়ীতে যাতায়াত করে থাকেন এবং দুলাল বেপারী ছেলে মোঃ রাসেল নিজকে বিএনপির হোতা হিসাবে পরিচয় দেন। একই গ্রামের মহিদুর মন্ডল ও মোঃ রাসেল এর মাধ্যমে ঘুষের টাকা লেনদেন হয়। চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোতার বিভিন্ন অপর্কম করে এলাকার জনগনকে অতিষ্ট। এব্যাপারে স্থানীয় লোকজন ও বর্তমান বেশ কয়েকজন মেম্বার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কাম্য।