জাতীয়
  রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় কাজ করছে ১৬০০ মাঝি
  20-05-2018

মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তায় কাজ করছেন ১ হাজার ৬০৯ জন মাঝি। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ছোট-বড় ২৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রাতের বেলা দুই শিফটে পাহারা দেওয়ার কাজটি করছেন ‘মাঝি’ পদবির এসব রোহিঙ্গা যুবক ও আরও কিছু স্বেচ্ছাসেবী। ক্যাম্পের ভিতরে চুরি, ডাকাতিসহ নানা অপরাধ ঠেকাতে কাজ করছেন তারা। এ ছাড়া ত্রাণ বিতরণসহ নানা শৃঙ্খলার কাজেও সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনকে এসব মাঝি সহযোগিতা করেন। রোহিঙ্গা যুবকদের মধ্য থেকে বাছাই করে কমিউনিটি লিডার হিসেবে তাদের মনোনয়ন করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে তাদের মাঝি পদবি দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীর গেঞ্জি পরে, গলায় ‘মাঝি কার্ড’ ঝুলিয়ে তারা দিনরাত নির্ধারিত কাজ করে যান।
জানা গেছে, রোহিঙ্গা তরুণদের ক্যাম্পের মধ্যেই কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে  স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি ক্যাম্পে তাদের ভাগ করে দেওয়া হয়। তাদের জনগোষ্ঠীকে নেতৃত্ব দিতে এবং রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা মোকাবিলার জন্য তাদের সামাজিক পদ্ধতি অনুসরণ করে এই মাঝিদের কাজে লাগানো হচ্ছে। তাদের মধ্যে একজন হেড মাঝি, একজন মাঝি ও তার পর সাব-মাঝির পদ রয়েছে। একজন মাঝির তত্ত্বাবধানে থাকে এক হাজার থেকে ১২০০ রোহিঙ্গা পরিবার। সাব-মাঝির তত্ত্বাবধানে থাকে ১০০ রোহিঙ্গা পরিবার। তাদের লিডার তারাই মনোনয়ন করে থাকেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝে মাঝেই লাল পতাকা দেখা যায়। তার মানে সেই পতাকা নির্দেশিত স্থানে একজন মাঝি আছেন। আর্মি কো-অর্ডিনেশন সেল, উখিয়ার সাবেক চিফ কো-অর্ডিনেটর ও রোহিঙ্গা সংকটের শুরুতে দায়িত্ব পালনকারী লে. কর্নেল শাহ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের একটা ডাটাবেজ সংরক্ষণ করছি। এই মাঝিদের সিস্টেমটা কাজের সুবিধার্থে গড়ে তুলেছি। রোহিঙ্গাদের প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ তাদের থাকার জায়গারও আলাদা নম্বর দেওয়া আছে। প্রতিটি ব্লক অনুযায়ী মাঝিদের ছবিসহ তালিকা আমরা সংরক্ষণ করছি।
তিনি বলেন, এখানকার রোহিঙ্গাদের ম্যানেজ করতে আমাদের পিসকিপিং মিশনসহ বিভিন্ন অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে। বাংলাদেশের মিলিটারি এমন ক্রাইসিস প্রায়ই মোকাবিলা করে। আমরা নিজেদের ইনোভেশন দিয়ে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা করেছি।