বিশেষ প্রতিবেদন
  দুরমুজখালী সীমান্তে উদ্ধার হওয়া লাশ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য
  04-04-2018

॥ রফিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা ॥
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগরের  দুরমুজখালী সীমান্ত থেকে ফিরে মীর আবু বক্কার নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সংবাদটি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হলেও এর আড়ালে থেকে গেছে ভিন্ন ঘটনা।  আবু বক্কারের  লাশ নদীর চরে পুতে রেখে ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানায়, দুরমুজখালী গ্রামের মৃত বাদল মন্ডলের ছেলে গণেশ মন্ডল, কুলতলী গ্রামের মৃত বেলাত গাজীর ছেলে মহববত আলী, দক্ষিণ কুলতলী গ্রামের গোপাল মন্ডলের ছেলে নিমাই মন্ডল, অধির মন্ডলের ছেলে হেমাংশু মন্ডল, বিভুতি ভুশনের ছেলে সুধাংশ মন্ডল মুত হরেনন্দ্র মন্ডলের ছেলে রবিন্দ্র মন্ডল, দাসকাটি গ্রামের রুপচাঁদ গাজীর ছেলে রাশেদ গাজী, রামচন্দ্রপুর গ্রামের কালু গাজীর ছেলে শহিদুল গাজী সহ কয়েকজন মিলে দুরমুজখালী মানব পাচার গড়ে উঠেছে। এই চক্রের কয়েকজন লাশটি চরের মাটি খুঁড়ে পুতে রাখার চেষ্টা করছিলো এ সময়  এলাকাবাসী দেখে ফেলায় মুত লাশটি টেনে নিয়ে একটু দুরেই ফেলে রেখে চলে যায় তারা। এরপর বি জি বি কতৃক খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় শ্যামনগর থানা পুলিশ। সংঘবদ্ধ ওই চক্রটি হলো সীমান্ত এলাকার চোরাকারবারী সদস্য ও মানব পাচারকারীদের দল, এদেরকে বলা হয় ঘাট মালিক। এ ছাড়া দুরমুজখালী গ্রামের গণেশ মন্ডলের মাধ্যমে ভারত থেকে ধুড় পারাপারকারী শ্যামনগর উপজেলার বাদঘাটা গ্রামের নেপাল বহুদিন যাবৎই দালাল চক্রের মাধ্যমে পাচার করে বলে জানা গেছে। এর ফলশ্রুতিতে এ দালাল চক্রের মাধ্যমে ৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার দুরমুজখালী সীমান্তের ওপারে চাড়াল খালী এলাকায় এসে জড় হয় ২৫/৩০ জন। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত কালিন্দী নদী  দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পাড়ী দেওয়ার উদ্দেশ্যে। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায় মাঝ রাতে এদেরকে ছোট নৌকায় করে বাংলাদেশে পাড়ী দেওয়ার সময় ভারতের সীমানাত রক্ষী বাহিনী বি এস এফ এর ধাওয়ার মুখে পড়ে এবং নৌকা ফেলে যে যার মতো লাফিয়ে নদীতে ঝাপ দেয়। এক পর্যায়ে বি এস এফ এর বহনকারী স্প্রীড বোটের ধাক্কায় কাশিমাড়ীর আবু বক্কার পানির নিচে ডুবে যায়। এ খবর দুরমুজখালীর দালাল চক্র জানতে পেরে সবার অলক্ষ্যে আবু বক্কারে লাশ খুঁজতে থাকে। ৫ দিনের মাথায় লাশ খুঁজে পেয়ে নিজেদের অপকর্মের প্রমাণ মুছে ফেলতে তড়িঘড়ি করে নদীর চরে লাশ পুতে রাখার চেষ্টা চালায়। এ ছাড়া ঐ সময় নাম না জানা বিভিন্ন এলাকার আরো ৩/৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ বিষয় দুরমুজখালী ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার জানামতে এই এলাকায় কোন ধুড় পারাপার কারী নেই  এবং আবু বক্কারের লাশ ভাসতে ভাসতে দুরমুজখালী ক্যাম্প থেকে ৬০০ গজ দুরে এসে পড়ে থাকলে আমরা শ্যামনগর থানায় খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ষনহশষ,লমমভলভললভ