অধিকারের প্রতিবেদন
  কচুয়ায় বসতভিটা নিয়ে বিরোধ সংঘর্ষ ॥ আহত-৭
  02-04-2018

বাগেরহাট কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বসতভিটা দখলকে কেন্দ্র করে হামলা মামলা বিরোধ চলে আসছে। প্রতিপক্ষ অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় নিরীহ সবজী বিক্রেতা রেজাউল ওরফে রেজা ফকিরের পরিবারের প্রতি বিভিন্নভাবে মারধর প্রাননাশের হুমকি অব্যহত রেখেছে । প্রতিপক্ষ শিয়ালকাঠীর ফজলু ফকিরের পুত্র জাকির ফকির ওরফে জাকিরে নেতৃত্বে পূর্ব শত্রুতার  জের হিসেবে আসামী ফজলু ফকির, বজলু ফকির পিতা মৃতঃ ইয়াকুব আলী ফকির শাহাম উদ্দিন শেখ পিতা মৃতঃ জয়েম উদ্দিন শেখ, কামরুল ফকির পিতা মৃতঃ হামেদ ফকির, এমরান শেখ পিতাঃ শাহাব উদ্দিন শেখ, আলমগীর ফকির, রুবেল ফকির পিতা মৃতঃ হামেদ ফকির, সুমা বেগম স্বামীঃ কামরুল ফকির, আনজীরা বেগম স্বামীঃ ফজলু ফকির সহ ৩০/৪০ জন সঙ্গীয় স্বদলবলে রাম দা  লোহার রড, কাঠ ও বাঁশের লাঠিশোঠা নিয়ে  বেআইনী জনতাবদ্ধে রেজাউল ফকিরদের বসতবাড়ির ভিটায় অনধিকার প্রবেশ করে  গোয়ালঘর ভাংচুর করে । এবং রাম দা দিয়ে  রেজাউল ফকিরকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথার উপর কোপ মারে । এতে সে রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময়ে রেজাউলের লুঙ্গির কোচায় ব্যবসায়ীক নগদ ৩৫০০০ টাকা আসামীরা ছিনিয়ে নেয়। এ সময়ে উভয় পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আসাদুল ফকির, মিনারা বেগম,  সেতারা বেগম, রেজাউল সহ ৭ জন গুরুতর আহত হয় । এদের মধ্যে ৪ জনকে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। এ ব্যাপারে রেজাউল ফকিরের মা হামিদা বেগম কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরে নগদ টাকা স্বর্নালংকার এবং ঘর ভাংচুর বাবদ এক লক্ষ পনের হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি দাবি করেন।
এ সময়ে তাদের ডাক চিৎকারে এলাকার মুকিত খান বীর মুক্তিযোদ্ধা, আলী মাঝি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ খান আরো অনেক স্বাক্ষী এগিয়ে এলে আসামীরা তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। প্রতিপক্ষরা হামিদা বেগমের মামলা তুলে  নেয়ার জন্য প্রাণনাশের ও তার ছেলেমেয়ে  বৌমাদের মারধরের হুমকিতে এলাকা ত্রাস সৃষ্টি করে চলেছে।
তারা বাড়িতে অগ্নি সংযোগ লুটপাট এবং তাদের সঙ্গীয় দলবল প্রতিনিয়ত মারমুখী অবস্থান নিয়েছে। এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। এর আগে ধোপাখালী ইউনিয়নের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাধারন সম্পাদক বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে প্রায় এক মাস যাবদ দলিল কাগজপত্র দেখে হামিদা বেগমের পক্ষে   শোলিসে প্রতিপক্ষকে সেখানে যেতে বিরত থাকতে বলে।