জাতীয়
  মনিকাকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা
  15-02-2018

॥ মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন ॥
মনিকা ইসলাম। এক হাস্যোজ্জল প্রানবন্ত তরুণী। ১৯ বছরের কোঠা ছুই ছুই করছে।  যে বয়সে আনন্দ উচ্ছাসে বাড়ি-ঘর মাতিয়ে রাখার কথা। সে বয়সে মনিকা হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। মনিকারও স্বপ্ন ছিল লেখা-পড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হবে। দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করবে। আরও ১০টা মেয়ের মত একসময় বিয়ের পিড়িতে বসবে।  
কিন্তু সেই  স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়ে গেল। ২০১৬ সালের বছরের নভেম্বর মাসে মনিকার সহপাঠীরা যখন এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয় তখন তাঁর স্থান হলো মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালের বিছানায়।
মনিকার চিকিৎসার্থে তহবিল সংগ্রহে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে `মেধাবী ছাত্রী মনিকাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন` ব্যানারে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মনিকার বাবা খুলনার জেলার দিঘলিয়া উপজেলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী  শেখ মনিরুল ইসলাম। মানববন্ধনে মনিকার ভাই-বোনসহ এলাকার অর্ধশত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।মনিকার বাবা শেখ মনিরুল ইসলাম জানান, মরণঘাতী ব্লø্যাড ক্যান্সার-এ আক্রান্ত মনিকা। একটানা ৬ মাস তার শরীরে কেমোথেরাপি দেওয়া হলে সে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠে। এরপর হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে আনার পর পুনরায় মনিকা তাঁর পড়াশুনায় মনোযোগী হয়। কিন্তু গত বছরের ২১ নভেম্বর আবারও সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
মনিকার চিকিৎসার দরকার হলো এ্যালোজেনিক বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট যা আমাদের দেশে এখনো চালু হয়নি। বিদেশে এই চিকিৎসার ব্যয় প্রায় এক কোটি টাকা। মনিকার বাবা একজন ক্যান্টিন ব্যবসায়ী, তিনি মেয়ের চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ করেছেন। বর্তমানে বাড়ি ভিটা ছাড়া তার আর কিছুই নেই।
তিনি মনিকাকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান সহ ১৬  কোটি মানুষের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করেন। সকলের সহযোগিতাই পারে মনিকাকে বাচিয়ে তুলতে। যারা মনিকাকে বাঁচাতে সাহায্য করতে চান তারা সঞ্চয়ী হিসাব নং-১২০১৫১১৩৩১৩, ডাচ বাংলা ব্যাংক, খুলনা শাখা, খুলনা। বিকাশ নম্বর ০১৭১১-৪৫০১৯৫-এ সাহায্য পাঠাতে পারেন।