প্রচ্ছদ
  সভ্য যুগে অসভ্যতা শিশু ধর্ষণ : বিচারহীনতাই দায়ী চরমভাবে লঙ্ঘিত শিশু সুরক্ষা আইন
  01-11-2017

॥ মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন ॥

ছোট বেলা থেকে দেখে এসেছি শিশুদের সুরক্ষায় যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশিসহ ৬টি টিকা দেয়া বাধ্যতামূলক ছিলো। সম্প্রতি টিকার পরিমাণ বেড়ে ঠেকেছে ১০টিতে। রোগ প্রতিরোধে বাচ্চাদের বিনামূল্যে টিকাগুলো সরবরাহ করে বিভিন্ন সংস্থা। টিকার কারণে শিশুর শারীরিক রোগ হয়তো ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্যত্র।
ঘরে কিংবা বাইরে, শহরে কিংবা গ্রামে। সম্প্রতি উদ্বেগজনক হারে সব খানেই বাড়ছে শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা। দিনে দিনে এ পাশবিকতার চিত্র মহামরি আকার ধারণ করেছে। শিশু ধর্ষণ, গণধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের পর হত্যা সবই হচ্ছে। বনের কোনো হিংস্র পশুও এমন কর্ম করে না। অথচ যারা এসব হিংস্রতা করছে তারাও মানুষ! আমাদের মতোই হাত-পা, চোখ-মুখওয়লা মানুষ। সবই ঠিক আছে, তাদের শুধু বিকৃত রুচি আর মস্তিষ্ক।

শুধু অশিক্ষিত আর প্রভাবশালীরাই এ কাজে জড়িত এমনটাও নয়। এসব কাজ করেছে স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম কিংবা মৌলভী। তালিকা থেকে বাদ পড়েনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। আর রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে এমন ঘটনাতো অহরহ। পান্না মাস্টার কিংবা পরিমল মাস্টারের কথা নিশ্চই ভুলে যাননি আপনারা। অস্থির সমাজের চরম অবক্ষয় আর মানুষ নৈতিকতার পাল্লা দিয়ে নেমে যাচ্ছে অধপতনের দিকে। শুনে ছিঃ ছিঃ করলেও দেখার যেন কেউ নেই। কোনো মতেই থামানো যাচ্ছে না- এই যৌন নিপীড়ন। আর মানুষ নামের কিছু অমানুষের যৌন লালসার শিকার হচ্ছে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম। দিনাজপুরের সাইফুলের কথা মনে আছে? এইতো সেদিনের ঘটনা। কেউ কেউ হয়তো মনে রেখেছেন। তবে অনেকই তাকে বেমালুম ভুলে গেছেন এটাও ঠিক।

দিনাজপুরে সহিংশতার শিকার পাঁচ বছরের যে শিশুটি জীবন মৃত্যুর মাঝামাঝি অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলের বিছানায় কাতরাচ্ছে, তার প্রতিবেশী সাইফুল। তিন মেয়ে, এক ছেলের জনক সাইফুলকে সে বড় আব্বু বলে ডাকতো। বাবার কাছ থেকে স্নেহের পরিবর্তে পৈচাশিকতার নমুনা পেয়েছে মেয়েটি। আমি নিশ্চিত ঘুমের ভেতর সপ্নেও ভয়ে লাফিয়ে উঠবে এখন শিশুটি। দুঃসহ স্মৃতি হয়তো তাকে বয়ে বেড়াতে হতে পারে দীর্ঘকাল। বড় আব্বু তাকে ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি। মাথা-গা থেঁতলে দিয়েছে, সিগারেটের আগুনে পুড়িয়ে, মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে ছুড়ে ফেলেছে ফসলেও ক্ষেতে! শিশুদের যারা ধর্ষণ করছে, তাদের বড় একটা অংশ চেনা-জানা লোক। খুব সামান্য কিছুর প্রলোভন দেখিয়ে তারা শিশুদের সঙ্গে ভাব জমায়। ধর্ষকদের কেউ বৃদ্ধ, কেউ প্রৌঢ় এবং একটি অংশ কিশোর। সে যাই হোক, ধর্ষকের শ্রেণিবিন্যাস করে কী লাভ। ধর্ষক ধর্ষকই। কাউকে চকলেট, কাউকে বিস্কুট কিংবা খেলনা কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুদের ধর্ষণ করছে নরপশু।

যখনই দেশের কোনো প্রান্তে কোনো শিশু ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হচ্ছে, সংবাদমাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় হচ্ছে। মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ছে, সামাজিক আন্দোলন হচ্ছে ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। কিছুদিন পর থেমে যায় আন্দোলন, আবার ঘটছে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এটাই স্বাভাবিক। নিজের বাবা-মা মারা গেলেও কদিন কান্না কিংবা শোক পালন শেষে সব স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু ধর্ষিত শিশুদের জীবন কোনো সারা জীবনেও স্বাভাবিক হয়? আর যারা ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয় তাদের পরিবার কি কোনো দিনও ভুলতে পারে এ নিমর্ম পৈশাচিকতা? কুমিল্লøার তনুর পরিবর আজও কি ভুলতে পেরেছে সন্তান হারানোর যন্ত্রণা? কোনো দিন বাবা-মার পক্ষে এটা কি ভুলে যাওয়া সম্ভব? কেন ঘটে এই হিংস্রতা, যৌন নির্মমতা? এর পোস্টমর্টেম করা দরকার।

এক জড়িপে দেখা গেছে, ২০০১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় বিচারের হার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ১৮০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশনা আছে। তবে এর বাস্তবায়ন নেই। পুলিশের অভিযোগ, সরকার পক্ষের কৌশুলী যতœবান নন। আর সরকার পক্ষের কৌশুলিদের দাবি, পুলিশ সাক্ষী ও আসামি হাজিরে আন্তরিক নয়। বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে সামাজিক চাপ আর বিচার না পাওয়ায় ধর্ষণের শিকার পরিবারও একসময় চুপ হয়ে যায়। লোক লজ্জার বিষয়তো আছেই।

বিচারহীনতা আর সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি কারণে শিশু নির্যাতনের ঘটনার সেই অর্থে সুরাহা হচ্ছে না। ফলে অপরাধের সংখ্যাও বেড়েছে জ্যামিতিক হারে। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য মতে, ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে শিশু ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে ১৬১ দশমিক ৮১ শতাংশ। গণধর্ষণ বেড়েছে ৩৫০ শতাংশ। ধর্ষণের পর হত্যার হার বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের হয়রানি করা কঠিন বলে তারা শিশুদের বেছে নেয়। শিশুদের ওপর জোর খাটানো সহজ এবং শিশুরা ঠিকমতো ঘটনার বর্ণনা দিতে না পারায় অন্যায় করে পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে। ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশু এবং তাদের স্বজনেরা মনে করে, ধর্ষণের দায় ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর ওপর বর্তাবে। ভবিষ্যতে মেয়েটি আর স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে যেতে পারবে না। এই ধারণা থেকে অভিভাবকেরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চুপ করে থাকেন। কিন্তু এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক ট্রাফিক পরিদর্শককে বিরুদ্ধে এক মেডিকেল ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রীর করা মামলায় মমিনুল ইসলাম নামের এক পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

২০১২ সালের জুনে কুষ্টিয়া শহরের এক আবাসিক রেস্টুরেন্টে খাওয়াতে নিয়ে গিয়ে কোমল পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে মেয়েটির আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ উঠেছে মমিনুলের বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকার নিজ ঘরে সংখ্যালঘ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দুই বছর আট মাস বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী নূর উদ্দিন সাগর নামের এক কলেজ ছাত্রকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। সাতক্ষীরায় পঞ্চাশ বছরের এক বৃদ্ধের বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়েছে সাড়ে তিন বছরের এক শিশু। ধর্ষণের মারাত্মক ক্ষত নিয়ে মেয়েশিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছে সদর হাসপাতালে। কার কখন কামবাসনা জাগ্রত হয় তা বোঝা মুসকিল।

বিচারহীনতাই এ ধরনের ঘটনাকে যে উৎসাহিত করছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না এটা স্পষ্ট। এমন বর্বরতার শাস্তি না হওয়ায় ধর্ষণের ঘটনা ও মামলার সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে এটা বলাই যায়। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটায় তাদের ক্রশফায়ার দিলে কেউ বিরোধিতা করতে, আমার মনে হয় না। কিংবা তাদের যৌনাঙ্গে ইট বেধে ঝুলিয়ে রাখলে কেউ কি নিষধ করবে। যদিও আইন এমন বিচার সমর্থন করে না। ২০১৬ সালে শুরু থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গত ৯ মাসে সারা দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩২৫ শিশু। বড়দের কথাতো বাদই দিলাম। বছর শেষে এর সংখ্যা কত হবে তা সহজেই আন্দাজ করাই যায়।

মাসওয়ারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে ৩৩, ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৪, মার্চে ২৯, এপ্রিলে ৪২, মে মাসে ৪৪, জুনে ৩৯, জুলাইয়ে ৩৩, আগস্টে ৩৭ এবং সেপ্টেম্বরে ৩৪ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিমাসে গড়ে ৩৭টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৮টি শিশু, ৩১টি প্রতিবন্ধী বা বিশেষ শিশু ধর্ষিত হয়েছে আর ৫টি শিশু গৃহকর্মীর কর্মস্থলে ধর্ষিত হয়েছে। এই সময়ে মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ১৫টি শিশু। অর্থাৎ প্রতি দুই মাসে একজন শিশু ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে। ধর্ষিত শিশুদের অধিকাংশের বয়সই ৫-১২ এর মধ্যে। এদের নানা কৌশলে ধর্ষণ করা হচ্ছে। ৫-১২ বছরের শিশুদের ধর্ষণ করা হচ্ছে চকলেট, খেলনা বা কোনো শৌখিন জিনিস দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এবং কোনো নির্জন স্থানে বা বাড়িতে একা পেয়ে। ১৩-১৮ বছরের শিশুদের ধর্ষণ করা হয়েছে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়েএবং কোনো নির্জন স্থানে বা বাড়িতে একা পেয়ে।

পরিসংখ্যান বলছে, আগের বছর ২০১৫ সালে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ৫২১টি। যাদের মধ্যে ৯৯টি শিশু গণধর্ষিত হয়েছে, ৩০টি শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং ৪টি শিশু ধর্ষণের অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। ২০১৪ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৯৯টি। যাদের মধ্যে ২২টি শিশু গণধর্ষিত হয়েছে, ২১টি শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং ২৩টি শিশু ধর্ষণের অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। ২০১৩ এবং ২০১২ সালে যথাক্রমে ১৭০ এবং ৮৬টি শিশু ধর্ষিত হয়েছে।

প্রথমত নির্যাতন করার পর অপরাধীকে আইনের আওতায় না আনায় এ সম্পর্কিত আইন থাকলেও তা উপেক্ষিত হচ্ছে দিনের পর দিন ।

আর দ্বিতীয়ত, মামলা হলে যে চার্জশিট দেয়া হয় তাতে আইনের ফাঁক-ফোকর থাকে। নির্যাতিত শিশু দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত আর অপরাধীরা ক্ষমতাবান প্রভাবশালী হওয়ার ফলে মামলা গতি হারায়। অনেক ক্ষেত্রে শিশুর পক্ষে সাক্ষী পাওয়া যায় না। দরিদ্র অভিভাবক অনেক সময় অল্প টাকায় আসামির সঙ্গে আপস করে মামলা তুলে নেয়া অনেকটা বাধ্য হয়েই। আবার অনেক সময় ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটলে গরিব হওয়া সত্ত্বেও সম্মান খোয়ানোর ভয়ে নির্যাতিত শিশুর অভিভাবক মামলা করেন না। আবার মামলা করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবীর নোংরা জেরা এবং দীর্ঘ সময় ধরে মামলা চলায় তাদের পক্ষে মামলা চালিয়ে নেয়াও সম্ভব হয় না। ফলে সমাজে শিশু ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলেছে।

বঞ্চিত হচ্ছে বিচার প্রত্যাশিরা বাংলাদেশে নারীর ওপর স্বামীর অর্থনৈতিক নির্যাতনের হার জাতিসংঘের মাপকাঠিতে খুব বেশি নয়। তবে আরও কয়েকটি মাপকাঠি যোগ করে দেশীয় মানদণ্ডে দেখা যায়, বিবাহিত নারীদের প্রায় অর্ধেকই জীবনে কখনো না কখনো স্বামীদের হাতে অর্থনৈতিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। আর জীবনকালে অন্তত একবার হলেও স্বামীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমন নারীর সংখ্যা ৮০ শতাংশের বেশি। এতো দুরাশার মধ্যেও আশার কথা সম্প্রতি নারী পুরুষের সমতা ( জেন্ডার ইক্যুইটি) প্রতিষ্ঠায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে আছে বাংলাদেশ।

আর বিশ্বের ১৪৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭২তম। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ২০১৬ সালের গ্লে­াবাল জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্সে এই তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে।

প্রশ্ন জাগতেই পারে তবে কি এর কোনো সমাধান নাই? সমাধান অবশ্যই আছে। প্রত্যেকটি সমস্যারই সমাধান আছে। প্রচলিত আছে সমস্যা যত বড় হয় সমাধান ততো ছোট হয়।
তার জন্য সহযোগিতা করতে হবে রাষ্ট্রকে। এসব বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে সরকারকে। সামাজিক আন্দোলনতো চলবেই। গণমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও থাকতে হবে স্বোচ্চার। ভয় দেখাতে হবে অপরাধীকে। কচ্ছপ গতিতে চলা বিচার ব্যবস্থাকে দ্রুত গতিতে রূপদান করতে হবে। বিচার পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। প্রয়োজনে প্রচলিত আইনের সংশোধন করে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। বিচার দ্রুত নিশ্পত্তি হলে, ভয়ংকর সাজা হলে অবশ্যই ভয় পাবে অপরাধীরা।

মনে রাখতে হবে অপরাধী সব সময়ই ভীতু হয়। শুধু ঠিক সময়ে সঠিক স্থানে পেরেক ঠুকতে হবে। আসুন মাথা খাটাই, ভালো কাজে মন দেই। সংযত হই। তবেই মুক্তি, তবেই সমাধান।