॥ মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন ॥
না ফেরার দেশে চলে গেলেন মানবাধিকার খবরের গ্রাফিক্স ডিজাইনার তারেক হোসেন (২৬)। তিনি ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ( ইন্না লিল্লøাহি ওয়াইন্নাইলাইহী রাজেউন)। দীর্ঘ একমাস যাবৎ তিনি ব্ল্যাড কান্সারে ভুগতে ছিলেন। রাতেই জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মানবাধিকার খবরের পক্ষ থেকে তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও তার আত্মার শান্তি কামনা করা হয়েছে।
ক্ষমা কর তারেক অসুস্থ মা ও শাশুড়িকে দেখতে আমি যখন অবস্থান করছি বাগেরহাট ও পিরোজপুরে। আমাদের গ্রাফিক্স ডিজাইনার তারেকের মা মৃত্যুর দিন সন্ধ্যায় যখন ফোন করে জানালো তারেক আমাদের মাঝে আর বেচে নেই। আপনাদের আর বিরক্ত করবেনা। কথাগুলি শোনার সাথে সাথে আমার ভিতর বর্ণনাতীত ও মারাত্মক অপরাধবোধ কাজ করতে থাকে। অসুস্থ তারেক হাসপাতালে থাকা অবস্থায় আমাকে দেখার জন্য তার মায়ের কাছে আকুতি জানিয়েছিল।
তার মা আমাকে তারেকের ইচ্ছার কথা বার বার বললেও কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রান বিতরন ও অন্যান্য মানবকল্যানের কাজে ব্যস্ত থাকার কারনে আমি সময়ের অভাবে যেতে পারিনি। তবে পিরোজপুর ও বাগেরহাট সফর শেষে তারেককে দেখার ইচ্ছা ছিল আমার। সেই সময় আর দিল না সে। না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। এছাড়া অফিসের কাজের স্বার্থে আমরা হয়তো অনেক সময় অনাকাংখিত ব্যবহার করেছি। ক্ষমা চাওয়ার সেই সময় ও সুযোগটুকুও পেলাম না।
অফিসের স্টাফ পাঠিয়ে তার অসুস্থতার খবর নিতে পারলেও নিজে গিয়ে দেখা করতে না পারায় অপরাধবোধ আমাকে তারা করছে। তারেক ছিল শারীরিক প্রতিবন্ধী। মানবিক কারনে, তাকে আমি মানবাধিকার খবর পত্রিকায় চাকুরী দেই। এই লেখাটির সময়, এসব কথা ভেবে আমার দু`চোখে অশ্রু ঝরছিল। ক্ষমা কর তারেক আমাদেরকে। এই উপলব্ধি থেকে সবাই কে বলছি ক্ষনিকের এ পৃথিবীতে কেউর সাথে কেউ দুর্ব্যবহার না করার জন্য। হয়তো ক্ষমা চাওয়ার সময় ও সুযোগটুকুও পাবেন না।
|