সারাদেশ
  বিশেষ কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পলাশীর প্রান্তরে উদযাপিত
  01-07-2017


গত ২৩ জুন ছিল ঐতিহাসিক পলাশী দিবস। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার সেই ঐতিহাসিক পলাশীর প্রান্তরে অস্তমিত হয়েছিল বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদৌল্লার শাসনের অবসান, নবাবেরই প্রধান সেনাপতি মীরজাফর আলি খানের ষড়যন্ত্রে। সেদিন এই পলাশীর প্রান্তরে নবাব বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ হয়েছিল ইংরেজ বাহিনীর। সেইযুদ্ধে মীরজাফরের ষড়যন্ত্রে পরাজিত হয়েছিলেন নবাব সিরাজ। এরপরে মীরজাফরের পুত্র মিরন মোহাম্মদী বেগকে দিয়ে ৩ জুলাই হত্যা করিয়েছিল নবাব সিরাউদৌল্লাকে।  
সেই পলাশী যুদ্ধের স্মরণে পলাশীর প্রান্তরে উদযাপিত হল পলাশী যুদ্ধের ২৬০ বছর পূর্তি উৎসব। পলাশীর প্রান্তরের সেদিনের সেই স্মৃতিকে স্মরণে রাখার জন্য তৈরি হয়েছে স্মৃতিস্মারক, বসানো হয়েছে নবাবের আবক্ষ মূর্তি। এখানেই সকালে পুস্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে দিনটির সূচনা হয়।  ঐদিন সকালে প্রতিবারের ন্যায় আজাদহিন্দ স্বেচ্ছাসেবক  পরিষদ পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজের আবক্ষ মূর্তিতে পুস্পমাল্য দিয়ে দিনটির সূচনা করেন। তারা বকসী মীর মদনের স্মৃতিস্তম্ভেও পুস্পমাল্য প্রদান করেন। এবং অবিভক্ত ভারত এবং অবিভক্ত বাংলার পতাকা সহ ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে পলাশী প্রান্তরের সিরাজের স্মৃতিস্তম্ভের সামনে। আজাদহিন্দ স্বেচ্ছাসেবক পরিষদের মনিরুজ্জামান মণি এবং সঞ্জিত বিশ্বাস স্মৃতিচারণ করে সিরাজের অবদানকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
এরপরে ১১টায় শুরু হয় বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান পিপলস ফোরামের বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে পলাশীর যুদ্ধ, সিরাজের অবদান  এবং মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে আলোচনা করেন ফোরামের পশ্চিমবঙ্গ এবং মুর্শিদাবাদ জেলাকমিটির নেতৃবৃন্দ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন রবীন্দ্র কিশোর গুহ রায়, খিলাফত আলি মন্ডল, বিপ্লব সরকার, নির্মাল্য চক্রবর্তী, সৌরভ ঘোষ, বাম নেতা শতরূপ ঘোষ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সকালে কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক সাংসদ দেবব্রত বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মানিক সমজদার  জানান, নবাব সিরাজের আত্মদান আর মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার নানা চিত্র তুলে ধরে এবং নবাবের অবদানকে আরও অমর করে রাখার জন্য এই পলাশী প্রান্তরে আয়োজন করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠানের। শুধু এখানেই নয়, ঐদিন মুৃর্শিদাবাদের খোশবাগে যেখানে আজও শুয়ে আছেন নবাব সিরাজউদৌল্লা সেখানেও তাঁর সমাধিতে পুস্পমাল্য অর্পন করে তাঁকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।