জাতীয়
  সড়ক দূর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত
  03-06-2017


নগরীর খানজাহানআলী থানাধীন যশোর-খুলনা মহাসড়কের ফুলবাড়ীগেট এলাকায় ট্রাকের চাপায় সোনলী জুটমিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্র ও উর্দিয়মান ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমান বাবু(১৪) নিহত হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি পুলিশ আটক করতে পারিনি। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী, স্কুলের শিক্ষার্থী এবং সোনালী জুটমিলের শ্রমিকরা দুই ঘন্টা খুলনা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানান, মীরেরডাঙ্গা সোনালীজুট উচ্চ বিদ্যলয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্র উর্দিয়মান ক্রিকেটার ও সোনালী জুটমিলের শ্রমিক ফজলু সরদারের পুত্র মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবু সকাল সাড়ে ৮টায় প্রাইভেট পড়ে সাইকেলযোগে বাড়ী ফেরার পথে খুলনা-যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়ীগেট জনতা মার্কেট চত্বরের সামনে আসলে যশোরগামী ট্রাক ঝিনাইদাহ ট-১১-১৪৩৭ তাকে রং সাইডে গিয়ে চাপা দিয়ে ঘাতক ট্রাকটি পালিয়ে যায়। নিহত স্কুলছাত্র বাবু ঘটনা স্থলে নিহত হয় পরে থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। এই ঘাটনার প্রতিবাদে স্থানীয় জনতা, সোনালী জুটমিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং মিলের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে করে রাখে। এ সময় উত্তেজিত জনতা একটি মাহেদ্র ভাংচুর করেন। বেলা সোয়া ১১ টায় খানজাহানআলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. আশরাফুল আলমের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীরা এবং শ্রমিকগণ বলেন আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘাতক ট্রাক ও ট্রাক ট্রাইভার আটকসহ নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপুরণ দেওয়া না হলে তারা আবারো সড়ক অবরোধ করতে রাস্তায় নামবেন। নিহত স্কুলছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান বাবু সোনালী জুটমিলস পারিবারিক কলোনীতে থাকতেন। নিহতের জানাযার নামাজ সোনালী জুটমিলস ঈদগা ময়দানে অনুষ্ঠিতহয়। পরে তাকে যোগিপোল ৭নং ওয়ার্ড কবরস্থানের দাফন করা হয়। স্থানীয়রা ব্যস্ততম এই সড়কের আই আর আই এবং জনতা মার্কেট চত্বরের মঝে স্প্রির্ড ব্রেকারের দাবী জানান।

আটক ১
ইজিবাইক চালক ছুরিকাহত
শেখ বদর উদ্দিন, ফুলবাড়ীগেট (খুলনা)
গিলতলায় ইজিবাইক চালককে গলা


য় ছুরিকাঘাত করে ইজিবাইক ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ধাওয়া করে এক ছিনতাইকারীকে আটক করেছে। খানজাহান আলী থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই শওকত জানান সম্প্রতি রাত ৯টায় দুই যুবক শিরোমনি থেকে ইজিবাইক চালক মো: মনিরুল ইসলামকে ভাড়া করে গিলাতলা নিয়ে যায় এবং গিলাতলা ২ নং কলোনি এলাকায় গেলে চালক মনিরুলের গলায় ছুরি মেরে ইজিবাইক নিয়ে পালানোর সময় এলাকাবাসী শিরোমনি দক্ষিনপাড়া এলাকার মো: জাকির হোসেনের ছেলে রায়হান (২২) কে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। তার সাথে থাকা অপর যুবক রানা পালিয়ে যায়। এ সময় ইজিবাইক চালক মনিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিতসার জন্য পাঠানোহয়। মনিরুলের গলায় ছুরি ঢোকানোতে গলার একটি রগ কেটে গেছে। তার অবস্থা আশংকাজনক এস.আই শওকত জানান ধৃত রায়হান নিজে স্বিকার করেছে তাকে হত্যা করে ইজিবাইকটি নিয়ে চম্পট দেবে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে এই ঘটনার নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শিরোমনি ইজিবাইক চালকরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবং আসামীদের ফাসির দাবি জানিয়েছেন।

বাঘারপাড়ায় গৃহবধুকে ভারতে পাচার
৩ বছর যাবৎ নিখোঁজ
আজিজুল ইসলাম, বাঘারপাড়া
দীর্ঘ ৩ বছর ধরে পাগলের মত নিজের মেয়েকে খুজে বেড়াচ্ছে অসহায় বৃদ্ধ পিতা। ঘটনাটি বাঘারপাড়া উপজেলার সাদীপুর গ্রামের। অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের সাদীপুর গ্রামের অসহায় পিতা সুবোল কুমার ৬ বছর আগে অভয়নগর উপজেলার কোবলা গ্রামের নির্মল বিশ্বাসের ছেলে সুবীর কুমার (৩৮) এর সাথে নিজকন্যা শিপ্রা রানী (২৪) কে বিয়ে দেন। তাদের দা¤পত্য জীবনে সন্তান না আসায় স্বামী সুবীর উন্নত চিকিৎসার জন্যে তার স্ত্রীকে ভারতে নিয়ে যায়। এ উদ্দেশ্যে শিপ্রার স্বর্ণালংকার বিক্রী করে দিয়ে টাকা নিয়ে ভারতে পাড়ী জমায়। এরপর একে একে কেটে যায় ৩টি বছর। কিন্তু শিপ্রা রানীর আজ পর্যন্ত কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা।
ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জামাই সুবীরের কাছে বার বার শিপ্রার খোজ জানতে চাইলে বলে সে তার আতœীয়ের বাড়ীতে ভাল আছে। উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাকে অনেকদিন ভারতে থাকতে হবে। এ বিষয়ে আপনাদের কোন চিন্তা করার দরকার নেই। চিকিৎসা শেষে শিপ্রাকে বাড়ী নিয়ে আসবো।
এ দিকে কয়েকদিন আগে শিপ্রার বাবা সুবোল কুমারের কাছে অচেনা নম্বর থেকে মোবাইল ফোনে বলা হয়, আপনার মেয়েকে নিতে চাইলে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠাতে হবে। কারন জানতে চাইলে জানানো হয় আপনার মেয়েকে আপনার জামাই সুবীর এবং তার ভগ্নিপতি শিশিরের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকায় কিনেছি। অত:পর তারা যোগাযোগের জন্যে ৩টি মোবাইল নম্বর দেয়। সেগুলো হচ্ছে- ০১৭৪২০৪৮০৩১, ০১৬৮০৭১৪৯৮৪, ০১৭১৬২০৫৯৭০। কিন্তু এই নম্বরে যোগাযোগ করেও শিপ্রা রানীর কোন খোজ পাওয়া যায়নি।
শিপ্রার বাবা জানান, তিনি জেনেছেন, জামাই সুবীর এবং তার ভগ্নিপতি শিশির বিশ্বাস পরিকল্পিতভাবে উন্নত চিকিৎসার নাম করে শিপ্রারানীকে ভারতে পাচার করে বিক্রি করে দিয়েছে। বর্তমানে জামাই সুবীর শিপ্রাকে ফিরিয়ে আনার কথা বললে নানা টালবাহনা করছে। শিপ্রার অভাবী পিতা মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জন্যে মানবাধিকার সংগঠনের কাছে আইনী সহায়তা চেয়েছেন।