জাতীয়
  এনডিপি’র ইফতার মাহফিলে খালেদা জিয়া আদালতের পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ
  03-06-2017


মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন
৮জুন বৃহস্পতিবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) উদ্যোগে গুলশানের ইমামউল কনভেনশন হলে ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, এত গরমে কথা বলতে পারছি না। এই গরম ও রোদের মধ্যে সকাল থেকে সারাদিন আদালতে ছিলাম। ওখানে এত এসি আছে, সেগুলো চালায় না। তারপর রিমোট কোথায় লুকিয়ে রাখে, পাওয়া যায় না। ওখানেও যে কত নাটক হতে থাকে। কত কী যে করে। গরমে অস্থির হয়ে যাচ্ছিলাম। এরপরও এসি লাগায়নি। পরে অনেক চিল্লাচিল্লি করার পর শেষের দিকে একটু এসি দিয়েছে।
এরপর তিনি বক্তব্য না দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম ঘোষণা দেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে এ রোজার মাসেও আমরা শান্তিতে নেই। আশা করেছিলাম এই রোজার মাসে সরকার নিপীড়ন-নির্যাতন থেকে বিরত থাকবে। কিন্তু আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপির একজন সিনিয়র নেতাকে জোর করে তার বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে সরকার। এভাবে সারাদেশে জুলুম-অত্যাচার-নির্যাতন চলছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি মিথ্যা মামলায় কোর্টে যেতে হয়েছিল। আবারও সাত দিন পর তাকে কোর্টে যেতে হুকুম হয়। এ থেকে বোঝা যায় কী ধরনের নির্যাতন তারা করছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে ইফতারে অংশ নেন এনডিপির সভাপতি খোন্দকার গোলাম মূর্তজা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ। তাদের মধ্যে ছিলেন এলডিপির চেয়ারম্যান (অব.) অলি আহমদ, সাহাদত হোসেন সেলিম, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর অধ্যাপক মজিবুর রহমান, জাগপার রেহানা প্রধান, আসাদুর রহমান খান, এনডিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, গোলাম মোস্তফা ভূঁঁইয়া, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি, বিজেপির আবদুল মতিন সউদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, খেলাফত মজলিশের শেখ গোলাম আজগর, এনডিপির কেন্দ্রীয় নেতা কারি আবু তাহের, মোকাদ্দের হোসেন, রাজু আহমেদ, আমিনুল ইসলাম টুকু, জামিল আহমেদ, শামসুল আলম, মোহাম্মদ মূসাসহ দলের নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়াও বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম, ফজলুল হক মিলন, জেবা খান, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।