সম্পাদকীয়
  ঈদ হোক মানবতার কল্যাণে সুখের বারতা
  03-06-2017

প্রকৃত অর্থে ঈদের খুশীতে ভরে উঠে অনাবিল পরম সুখের পূত-পবিত্র প্রতিটি হৃদয় আকাশ। যেখানে নেই কোন দুঃখ ভারাক্রান্ত মন, আবিলতা ও হিংসা বিদ্বেষের কোন হঠকারিতাপূর্ণ চিন্তা চেতনা। সেই সমাজ ও পরিবেশ, যাতে আছে কল্যাণ, আছে ভালোবাসা, প্রেম-প্রীতি ও সহমর্মিতা। আছে মানবিক মূল্যবোধের মূল্যায়ন। পরষ্পরের প্রতি সহযোগিতা ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের অনুরাগ ও মানব কল্যাণের ঐকান্তিক প্রবণতা। মানবের তরে ঈদ-উল-ফিতর সেই শিক্ষা নিয়েই প্রতি বছর আসে আমাদের মাঝে।
ঈদ উল ফিতর। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দুটো সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি। দ্বিতীয়টি হলো ঈদুল আযহা। ধর্মীয় পরিভাষায় একে ‘ইয়াউমুল জায়েয’ (অর্থঃ পুরস্কারের দিবস) হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। দীর্ঘ এক মাস রোযা রাখা বা সিয়াম সাধনার পর মুসলমানেরা এই দিনটি ধর্মীয় কর্তব্যপালনসহ খুব আনন্দর সাথে পালন করে থাকে।
বাংলায় ঈদ এখন সার্বজনিন উৎসব। সকল ভেদাভেদ ভুলে গরিব সকলের মাঝে এবং ঘরে ঘরে আনন্দ আর খুশির শিহরণ জাগায়। ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয় আনন্দ ধারার উৎসব আমেজকে প্রতিটি মুসলিম সমাজে। পাশাপাশি ভিন্ন ধর্মের লোকদের কাছেও জানায় ঈদের সওগাত, স্বাগতম ও শুভেচ্ছা বারতা। মানবতার জয়গান গেয়ে উছে প্রতিটি বনি আদমের হৃদয় কন্দরে।
কিন্তু বর্তমান বিশ্বের প্রতিটি দেশে, সমাজে আজ যে ধরনের বিভৎসতা আর নারকিয়তা, জুলুম-অত্যাচারে চলছে, যা ইসলাম কোন ভাবে সমর্থণ করে না। পরাশক্তির অধিকাপরী দেশগুলো ক্ষমতার দর্পে ক্ষুদ্র রাষ্ট্র ও জনপদগুলোর উপর বেপরোয়াভাবে ক্ষমতার দর্পে ক্ষুদ্র রাষ্ট্র ও জনপদগুলোর উপর বেপরোয়াভাবে তাদের স্বার্থ হাছিলের লক্ষ্যে নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে দুর্বল রাষ্ট্র ও জনগনের উপর। সেখানে মানবতাকে পদদলিত করে জুলুম-নির্যাতনের স্বর্গ রাজ্য প্রতিষ্ঠায় নিজেদের সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগ করছে। আর বিশ্বের জনগনের চোখে ধুলা দিয়ে গণতন্ত্র ও মানবতা প্রতিষ্ঠার মায়াকান্না দেখিয়ে প্রহসনের খবরদারী চালিয়ে যাচ্ছে সব দেশে।
এই ঈদে ছোট-বড়, ধনী-গরীব পার্থক্য ঘুঁচিয়ে দিয়ে সকলের তরে সাম্যনীতি ও ইনসাফপূর্ণ আচরণের মধ্য দিয়ে সুখ-আনন্দ ভাগ করে নিতে হবে। মানুষ মানুষের জন্য, এই অভেদ নীতেতে সাম্য ও ঐক্যের ভিত্তি রচনা করতে হবে সুন্দর পৃথিবী তৈরী করার জন্য। সমস্ত অকল্যাণ ও পাপ-পঙ্কিলতাকে ধুয়ে মুছে পবিত্র ঈদ হোক কল্যাণময় বারতার মহোৎসব। আর বাস্তবেই ঈদ সফল হবে তখনই, যখন মানবতা আর ধুঁকে ধুঁকে মরবে না, দুঃখ-যাতনা থাকবে না সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিরাপত্তা হীনতা ও বিপদ আশঙ্কার ঘনঘোর সৃষ্টি হবে না কোন দুর্মদ ও মানবতাবিরোধী কোন অপশক্তিদের দ্বারা।
মুসলিম বিশ্বের ঐক্য গড়তে ইসলামের শাম্বত বিধান অনুসরণ করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই এবং ঐক্য গড়তে ইসলামের শাশ্বত বিধান অনুসরণ করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃবন্ধনের অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে প্রতিটি ঈদগাহের লাখো জনতার সারিবদ্ধভাবে ঈদের জামায়াতে সামিল হওয়ার মধ্যে। তাই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সুমহান আদর্শের আলোকে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হবার গান গেয়েছেন এভাবে-
প্রকৃত অর্থে ঈদের খুশীতে ভরে উঠে অনাবিল পরম সুখের পূত-পবিত্র প্রতিটি হৃদয় আকাশ। যেখানে নেই কোন দুঃখ ভারাক্রান্ত মন, আবিলতা ও হিংসা বিদ্বেষের কোন হঠকারিতাপূর্ণ চিন্তা চেতনা। সেই সমাজ ও পরিবেশ, যাতে আছে কল্যাণ, আছে ভালোবাসা, প্রেম-প্রীতি ও সহমর্মিতা। আছে মানবিক মূল্যবোধের মূল্যায়ন। পরষ্পরের প্রতি সহযোগিতা ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের অনুরাগ ও মানব কল্যাণের ঐকান্তিক প্রবণতা। মানবের তরে ঈদ-উল-ফিতর সেই শিক্ষা নিয়েই প্রতি বছর আসে আমাদের মাঝে।
ঈদ উল ফিতর। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দুটো সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি। দ্বিতীয়টি হলো ঈদুল আযহা। ধর্মীয় পরিভাষায় একে ‘ইয়াউমুল জায়েয’ (অর্থঃ পুরস্কারের দিবস) হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। দীর্ঘ এক মাস রোযা রাখা বা সিয়াম সাধনার পর মুসলমানেরা এই দিনটি ধর্মীয় কর্তব্যপালনসহ খুব আনন্দর সাথে পালন করে থাকে।
বাংলায় ঈদ এখন সার্বজনিন উৎসব। সকল ভেদাভেদ ভুলে গরিব সকলের মাঝে এবং ঘরে ঘরে আনন্দ আর খুশির শিহরণ জাগায়। ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয় আনন্দ ধারার উৎসব আমেজকে প্রতিটি মুসলিম সমাজে। পাশাপাশি ভিন্ন ধর্মের লোকদের কাছেও জানায় ঈদের সওগাত, স্বাগতম ও শুভেচ্ছা বারতা। মানবতার জয়গান গেয়ে উছে প্রতিটি বনি আদমের হৃদয় কন্দরে।
কিন্তু বর্তমান বিশ্বের প্রতিটি দেশে, সমাজে আজ যে ধরনের বিভৎসতা আর নারকিয়তা, জুলুম-অত্যাচারে চলছে, যা ইসলাম কোন ভাবে সমর্থণ করে না। পরাশক্তির অধিকাপরী দেশগুলো ক্ষমতার দর্পে ক্ষুদ্র রাষ্ট্র ও জনপদগুলোর উপর বেপরোয়াভাবে ক্ষমতার দর্পে ক্ষুদ্র রাষ্ট্র ও জনপদগুলোর উপর বেপরোয়াভাবে তাদের স্বার্থ হাছিলের লক্ষ্যে নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে দুর্বল রাষ্ট্র ও জনগনের উপর। সেখানে মানবতাকে পদদলিত করে জুলুম-নির্যাতনের স্বর্গ রাজ্য প্রতিষ্ঠায় নিজেদের সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগ করছে। আর বিশ্বের জনগনের চোখে ধুলা দিয়ে গণতন্ত্র ও মানবতা প্রতিষ্ঠার মায়াকান্না দেখিয়ে প্রহসনের খবরদারী চালিয়ে যাচ্ছে সব দেশে।
এই ঈদে ছোট-বড়, ধনী-গরীব পার্থক্য ঘুঁচিয়ে দিয়ে সকলের তরে সাম্যনীতি ও ইনসাফপূর্ণ আচরণের মধ্য দিয়ে সুখ-আনন্দ ভাগ করে নিতে হবে। মানুষ মানুষের জন্য, এই অভেদ নীতেতে সাম্য ও ঐক্যের ভিত্তি রচনা করতে হবে সুন্দর পৃথিবী তৈরী করার জন্য। সমস্ত অকল্যাণ ও পাপ-পঙ্কিলতাকে ধুয়ে মুছে পবিত্র ঈদ হোক কল্যাণময় বারতার মহোৎসব। আর বাস্তবেই ঈদ সফল হবে তখনই, যখন মানবতা আর ধুঁকে ধুঁকে মরবে না, দুঃখ-যাতনা থাকবে না সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিরাপত্তা হীনতা ও বিপদ আশঙ্কার ঘনঘোর সৃষ্টি হবে না কোন দুর্মদ ও মানবতাবিরোধী কোন অপশক্তিদের দ্বারা।
মুসলিম বিশ্বের ঐক্য গড়তে ইসলামের শাম্বত বিধান অনুসরণ করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই এবং ঐক্য গড়তে ইসলামের শাশ্বত বিধান অনুসরণ করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃবন্ধনের অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে প্রতিটি ঈদগাহের লাখো জনতার সারিবদ্ধভাবে ঈদের জামায়াতে সামিল হওয়ার মধ্যে। তাই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সুমহান আদর্শের আলোকে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হবার গান গেয়েছেন এভাবে-