সারাদেশ
  নারিকেল বাড়ীয়ায় চিত্রা নদীতে সেতু নির্মাণের ৯ মাস চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে কবে?
  23-04-2017


যশোরের বাঘার পাড়া ও মাগুরার শালিখা উপজেলার ১৬ গ্রামের মানুষের সুবিধার্থে নারিকেল বাড়ীয়ায় চিত্রা নদী খেয়া ঘাটে দীর্ঘ ৯ মাস আগে সেতু নির্মাণ শেষ হলেও চলাচলের জন্য খুলে না দেওয়ায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। এতদাঞ্চলের জনগনের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ করা হলেও চিত্রা নদী উভয় দিকের হাজার হাজার মানুষের খেয়াঘাট পারা-পারে একদিকে যেমন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অন্যদিকে তেমনি পকেট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন কষ্টার্জিত টাকা।
নারিকেল বাড়ীয়া খেয়া ঘাটে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের পারাপারে সাইকেল প্রতি ১০ টাকা, মোটর সাইকেল প্রতি ২০ টাকা, এবং জনপ্রতি ৫ টাকা হারে ১০ টাকা কওে উভয় পাড়ের ১৬ গ্রামের মানুষকে প্রতিনিয়ত গুনতে হচ্ছে। পারাপারের জন্য খেয়াঘাটে ডিঙ্গি নৌকা ও বাশের সাঁকো। প্রতিদিন পারাপাওে বিশেষ বিপাকে পড়ে চাকুরিজীবি ও স্কুল-কলেজগামী ছেলে মেয়েরা। ব্যবসা প্রধান গুরুত্বপূর্ণ এই জনপদের দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশিত সমস্যা স্থায়ী সমাধান হলেও যশোর-মাগুরা জেলার প্রায় ১৬টি গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ যেন শেষ হয়েও শেষ হচ্ছেনা। অতিসম্প্রতি জনগনের দাবীর মুখে সেতুর দু’পাশে আটকে রাখা টিনের বেড়া শুধুমাত্র হেঁটে চলাচল করার জন্য আংশিক খুলে দেওয় হলেও যানবাহন চলাচল করতে নাপারায় ভোগান্তি কমছেনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নারিকেল বাড়ীয়া খেয়া ঘাটের সেতুর দু’পাশের সংযোগ সড়ক মেরামত করা হয়নি। শুধুমাটি ও বালি দিয়ে সড়ক তৈরি করা হয়েছে। সংযোগ সড়ক পাকাকরন সহ উভয় দিকে সমতল করার কাজও বাকি রয়েছে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ৮৮ যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রনজিত কুমার রায়ের সর্বাত্বক প্রচেষ্টায় বাঘারপাড়া উপজেলায় চিত্রানদীর উপর ৯০ মিটার দীর্ঘ সেত ুনির্মাণ সম্ভব হয়েছে। ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ৩০ জুন শেষ হয়েছে। সেত ুনির্মাণে এডিবি ও বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করেছে।
সেতুর উত্তর পাড়ের কাদির পাড়া বাজারের ডাঃ তালেব হোসেন, আব্দুল হামিদ, আতিয়ার রহমান এবং দক্ষিণ পাড়ের নারিকেল বাড়ীয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দিপ কুমার দে, অলকসাহা, ফারুক বিশ্বাস সহ আরও অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আসন্নবর্ষা মৌসুমের আগেই সেতুটি উন্মুক্ত করা না হলে আমরা আন্দোলন করবো। সেতুর দু’পাশে কাদির পাড়া ও নারিকেল বাড়ীয়া বাজারের সংযোগ সড়কের দু’পাশে অনেক দোকান পাট গড়ে উঠেছে। নারিকেল বাড়ীয়া কলেজের অধ্যক্ষ মিহির সাহা বলেন, সেতুটি চালু হলে মানুষের চলাচলে দূর্ভোগ যেমন কমবে তেমন উভয় বাজারের ব্যবসায়ীদেও ঢাকায় যাতায়াত ও মালামাল পরিবহণের পথ সহজ হবে। এছাড়া স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রী, চাকুরিজীবি সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের যাতায়াতের দীর্ঘ দিনের সমস্যা দূরীভূত হবে। এলাকার ভূমিকা পালন করবে বলে এলাকা বাসী আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন।