অর্থনীতি-ব্যবসা
  ঢাকায় সিএনজির পরিবর্তে আসছে বাজাজের ‘কিউট’গাড়ি
  30-03-2017



অর্থ-বাণিজ্য |

ভারতের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাজাজের উন্নত প্রযুক্তির তিন চাকার মালমাল পরিবহনযোগ্য যান এবং চার চাকার যাত্রী পরিবহন গাড়ি ‘কিউট’ বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রানার অটোমোবাইল লিমিটেড। বাজাজের নতুন এসব যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে তরলিকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ও ডিজেল।

সোমবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এসব গাড়ির আনুষ্ঠানিক বাজারজাতকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশে পরিবহনের চাহিদা পূরণে বাজাজের নতুন বাহন ‘কিউট’ এবং মালামাল পরিবহনে বাজাজের তিন চাকার যান আনতে সম্প্রতি বাজাজের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি করেছিল রানার অটোমোবাইল লিমিটেড।

অনুষ্ঠানে বাজাজের জেনারেল ম্যানেজার (ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস) মনিষ শিংরাথোর বলেন, ‘বাংলাদেশে বাজাজের এলপিজি এবং ডিজেলচালিত তিন চাকার যাত্রী ও মালবাহী যান প্রথমবারের মতো আনতে পেরে আমরা আনন্দিত। একই সাথে চার চাকার কিউট ও রানারের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে আনতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি। কারণ এসব যানবাহন এদেশের নিরাপদ, আকর্ষণীয় জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশের উপযোগী কিউট বাংলাদেশে পরিবহন খাতে বড় অবদান রাখবে। এছাড়া জনবসতিপূর্ণ নগরীর উপযোগী হবে। এরই মধ্যে এটি বিশ্বের ২০টি দেশে বাজারজাত করা হয়েছে।’

রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, ‘আজ আমাদের অত্যন্ত আনন্দের দিন। আমরা সারাবিশ্বের একটি সমাদৃত ব্র্যান্ড বাজাজের সাথে যুক্ত হবার মাধ্যমে রানার অটোমোবাইল লিমিটেড নতুন একটি যুগে প্রবেশ করলো। এই বিকল্প জ্বালানির থ্রি হুইলারের ব্যাপক উপযোগিতা রয়েছে। এটি বাংলাদেশের পরিবহন খানের উন্নয়নে অবদান রাখবে।’

তিনি আরও বলেন, এই উচ্চ ক্ষমতার টেকসই এবং প্রযুক্তিনির্ভর যান পরিবেশবান্ধব এটি সবুজ বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হবে।

রানার অটোমোবাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুকেশ শর্মা বলেন,‘পর্যায়ক্রমে রানার থ্রি হুইলার এবং কিউট সরবরাহের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি ভারসম্যপূর্ণ ইকো-সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করবে। এই যানবাহনগুলো তূলনামূলক কম দামে বিক্রি হবে। ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার উপযোগী প্যাকেজে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর কাছে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। আগামী নয় মাসের মধ্যে এসব গাড়ি বাজারজাতকরণে ২০টি ডিলার নিয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি।’

সম্প্রতি ঢাকায় শেষ হওয়াইন্দো-বাংলা মটরশোতে এসব যানবাহন প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে রানার অটোমোবাইলসের ডিলার, মালিক সমিতি, চালক সমিতির নেতা, বিভিন্ন এনজিও এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

* চার চাকার কিউট ব্র্যান্ডের গাড়ির দাম চার লাখ ৯৯ হাজার টাকা। তিন চাকার যাত্রীবাহী অটোরিকশার দাম তিন লাখ ৬০ হাজার থেকে চার লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং তিন চাকার পণ্য পরিবহনের গাড়ির দাম চার লাখ ৬০ হাজার টাকা।