মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন:
স্যার ফজলে হাসান আবেদের পুত্র মোকাররম হোসেন খান মার্কো, আলোচিত এক নাম। দেশের রিয়েল এস্টেট শিল্পের প্রতিনিধিত্বমুলক নেতৃত্বেও তিনি। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে তাঁর নারী কেলেংকারীর অযাচিত শত শত বহুমুখী ঘটনা । তিনি দেশের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘ব্র্যাক’ এর কর্ণধার স্যার ফজলে হোসেন আবেদ এর পুত্র। মা শিলু আবেদ- যিনি আবেদ সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। শিলুর অবশ্য প্রথম ঘরের স্বামীর পুত্র এই মোকাররম।তবে মার্কো বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক ভাবে প্রতারণা, ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে তা ফেরত না দেয়া, অবৈধভাবে সম্পদের মালিক বনে যাওয়া, বিদেশে টাকা পাচার বা মানি লন্ডারিং করা সহ নারীর প্রতি প্রবল আসক্তিরও অভিযোগ রয়েছে। তিনি ধনীর দুলালিদের সাথে প্রেমের অভিনয় করে বিয়ে করেন, একসময় প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে তাঁকে বিদায় জানানোর চেষ্টায় থাকেন। আর এভাবেই তিনি নারী খেকো হয়ে একের পর এক কিশোরী, তরুনী, যুবতী এমন কি মহিলদেরকেও প্রয়োজনমত নিজ স্বার্থে ব্যবহার এবং ভোগের পর ছুড়ে ফেলা তার অভ্যাসে পরিণত করেছেন-এমন খবরের সত্যতা মিলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁর ঘনিষ্ঠ পর্যায়ের একজন বলেছেন মার্কোর মাথায় যত চুল, তার চেয়েও বেশী নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক রযেছে।
এদিকে মার্কোর জীবনে উপরে ওঠার সিড়ি হিসেব একজন নারী রয়েছেন বলে জানা গেছে। যিনি অফিসিয়ালি তাঁর তৃতীয় স্ত্রী বলে পরিচিত। তাঁর থেকে নেয়া অর্থের উপরেই আজ মোকাররম মার্কোর শত শত কোটি টাকার সম্পদ গড়ে উঠেছে। যদিও সেই স্ত্রীকে তিনি বুঝিয়েছিলেন, সব কিছু তোমার আর আমার অর্ধেক অর্ধেক ! হালাল ব্যবসার কথাই বলেছিলেন তিনি। অথচ সূত্র বলছে, এই মোকাররম শত কোটি টাকা কানাডায় টাকা পাচার করেছেন বলে জানা গেছে!
মোকাররম এই জীবনে বহু নারীর সাথে সংসার ও সম্পর্ক করেছেন , সূত্র জইনয়েছে তিনি সুন্দর চেহারার আড়ালে নায়ক না হয়ে হয়েছেন খলনায়ক। মার্কো ও তাঁর জীবনে আসা হাজার হাজার নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে কয়েকজনকে নিম্নোক্ত আঙ্গিকে দেখানো হলো।

কেস স্টাডি-১: সেফতা খান। মোকাররম মার্কোর প্রথম স্ত্রী। যিনি অত্যন্ত উচ্চশ্রেণির প্রতিনিধি ছিলেন। সৎ চরিত্রের এই নারী মোকাররম কে বিয়ে করে অসুখী হয়ে পড়েন। যখন তিনি দেখতে পান এই মার্কো বহুনারীতে আসক্ত। অত: পর তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

কেস স্টাডি-২: এরপর মোকাররম বিয়ে করেন সাফার আলী মলি নামক আরেক নারীকে। বাবা সাজ্জাদ আলীর একমাত্র মেযে ছিলেন এই মলি। তবে নারী আসক্তি থাকায় মার্কোর সাথে সময়গুলো ভাল যায়নি মলির। দাম্পত্য কলহ ছিল। সেই মলি অবশ্য মারা যান একসময়।
কেস স্টাডি-৩: জিবা আমিন খান : যিনি এখনো তাঁর স্ত্রী হিসাবে বর্ত মান রয়েছেন। জিবা উচ্চ শিক্ষিত এবং লন্ডনে পড়াশোনা করেছেন। তবে চতুর মার্কো তাঁকে বাগিয়ে নেন ব্যবসার কথা বলে। মুলত জিবার বিনিয়োগেই মার্কোর কপাল খুলে যায়। তবে জিবাকে শোনা যায় সব কিছু থেকেই অর্থা ৎ বিষয়- বৈষয়িক থেকে বঞ্চিত করেছে মার্কো। তাঁদের একমাত্র সন্তানকে দেখভাল পর্যন্ত করেনা মার্কো। দুইজনের মধ্যকার সব ব্যবসা জালিয়াতি করে শেয়ার নিজের করে নিয়েছেন মোকাররম বলেও শোনা গেছে । বিযয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

কেস স্টাডি-৪: রোখসান্দা ইয়াসমিন। বহুল আলোচিত নারী। যিনি ২০১৪ সালে তাঁর পুত্রসহ অস্ত্র এবং মাদক সহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। এই রোখসান্দার সাথে লিভ টুগেদার করতেন এই মার্কো। শুধু সেটাই নয়, রোখসান্দা তাঁকে তরুণ নারী সরবরাহ করতো। রাজধানীর বনানীতে বসবাস করা রোখসান্দা পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে আসেন। এখনো রোখসান্দার সাথে মার্কোর সম্পর্ক আছে। কথিত আছে, রোখসান্দার সাথে মোকাররম মার্কোর মাদক ও অস্ত্রের ব্যবসাও আছে রাতের আঁধারে। যদিও এটার বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র থেকে সত্রতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কেস স্টাডি-৫: নাম জাহান সুলতানা। ঠিক এই মুহূর্তে যার সঙ্গে মোকাররম একসঙ্গে এক ছাদের নীচে বসবাস করছেন, এই নারী মোকাররমের সিডিএল কোম্পানিতে চাকুরী করতেন। মার্কোর সিডিএল অফিসের প্রায় সবাই যখন জেনে যায় তাঁদের মধ্যকার অবৈধ সম্পর্কে র্ কথা। একদিন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীও (ব্যবসায়িক অংশীদার) হাতেনাতে ধরে ফেলেন। অত্যন্ত নিম্নবিত্ত ঘরের এই মেয়ে এক রকম মোকাররম কে জুড়ে আছেন। জাহানের এক ভাইকে মোকাররম চাকুরীও দিয়েছেন। মোদ্দকথা, প্রেমের আপাত মূল্য মোকাররম দিয়েছেন এই মেয়ের প্রতি। তাঁদের একটি সন্তান রয়েছে ।

কেস স্টাডি-৬: এবার আর দেশের মাটিতে নয়। কানাডায় আরেকটি স্ত্রী রয়েছে এই মোকাররমের। যার নাম ইয়াসমিন সুলতানা স্বর্গ। রয়েছে এই ঘরেও আরেকটি বাচ্চা। যখনই মোকাররম কানাডায় যান তখন তাঁদের সংসার চলে।

কেস স্টাডি-৭: তাহসিনা আমিন। চমকে যাওয়ার মতো বাস্তবতা। তাহসিনা আমিন, যিনি মোকাররমের সিডিএল কোম্পানির হিসাব বিভাগে চাকুরীরত- সেই তাহসীনার সাথেও মোকাররমের রয়েছে অনৈতিক সম্পর্ক। কথিত আছে, মার্কোর অর্থনৈতিক চুরি, প্রতারণা ও ব্যবসার গোমর বা গোপন খবর তাঁর কাছে থাকাতে তিনিতাঁর সাথে একটা অদৃশ্য রহস্যময় সম্পর্ক রেখে চলেছেন। এমন কি এই নারী মার্কোর জন্য কিশোরী থেকে শুরু করে নানা বয়সের নারী সরবরাহ করে থাকেন।

কেস স্টাডি-৮: নাজিয়া রাফী : মার্কো মুলত ইয়াবা এবং সীসা খেতে খুব পছন্দ করেন। দেশের ইয়াবা সুন্দরীদের সাথে এই জন্য মধ্যরাতে প্রায় তাঁকে দেখা যায়। এমনও আছে, এসব মাদক সেবন করে কয়েকদিনের জন্য তিনি হারিয়ে যান। আর এসব হারিয়ে যাওয়া নারীর একজন নাজিয়া রাফী। তরুণ এই নারীর সাথে তাঁর সব ধরণের মানসিক ও শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে।

মোকাররম হোসেন মার্কো মুলত বিকিনি কিলার খ্যাত চার্লস শোভ্রাজের মতই এক চরিত্র ! নারী পটাতে ওস্তাদ ! আর তাঁর নারী নির্বাচনে শ্রেণি বিভেদ বা বয়স কিছু নয়। তাঁর লক্ষ্য একটাই, সেটা হল বিশেষ সম্পর্ক। তবে জীবনে দুইজন নারীকে তিনি অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। যাদেরকে তিনি বিয়ে করেছিলেন সূত্র অনুযায়ী মোকাররম ছিল চাকুরীজীবি। কনকর্ড গ্রুপের মার্কেটিং ডিভিশনে ছিলেন। একদিন স্বপ্ন দেখেন, তাঁকে বড় হতে হবে। তখন তিনি দুই অবস্থা সম্পন্ন নারীকে জীবন সঙ্গিনী করে ব্যবসার শেয়ার দেয়ার কথা বলে তাঁদের কাছ থেকে ব্যবসার পুঁজি নেন। অবশ্য সেই পুঁজি নিয়ে কথা রাখেননি মার্কো। কেড়ে নিয়েছেন তাঁদের সুখ-শান্তি ভালবাসেননি কখনও । একটা প্রফেসর প্ল্যানে কোটি কোটি টাকা তাঁদের কাছ থেকে নিয়ে বনেছেন হাজার কোটি

টাকার মালিক।পুরোনো ও নতুন নারী না হলে অহোরাত্র পার হয় না মার্কোর। এ যেন এক চরম নৈতিক স্খলন বিকৃতি!এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন হতে উচ্চ আদালতও নাকি তাঁকে খুঁজছে ! এ ব্যপারে মানবাধিকার খবরের পক্ষ থেকে জানার জন্য সিডিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাররম হোসেন মার্কো’র সঙ্গে গত ১ মার্চ তার সেলফোনে কল ও এসএমএস’র মাধ্যমে একাধিকবার চেষ্টা করেও এব্যাপারে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তথ্য সূত্র: jononeta.net
|