প্রচ্ছদ
  ২য় দিনের কর্মবিরতিতে ইনটার্ন চিকিৎসকরা : ভোগান্তিতে চরমে
  05-03-2017

 

রোগীর স্বজনকে মারধর করার ঘটনায় চার ইন্টার্ন চিকিৎসককে শাস্তি দেয়ার প্রতিবাদে সারাদেশের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে দ্বিতীয় দিনের মত কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (রমেক) থেকে প্রতিবেদক জিতু কবির জানিয়েছেন, রোববার সকাল থেকে কাজে যোগ না দিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২ পর্যন্ত হাসপাতালের সামনে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মানববন্ধন করে।

হঠাৎ করে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কর্মবিরতি ডাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি রোগী থাকে। ইন্টার্ন চিকিৎসক ছাড়া এতো রোগী সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন পরিচালক।

এদিকে, টানা দুইদিন ধরে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে সিলেটের ৯০০ বেডের সরকারি এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট প্রতিবেদক ছামীর মাহমুদ।

ওসমানী হাসপাতালের পঞ্চম তলায় তিনটি শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, চিকিৎসা নিতে আসা শিশুরা মেঝের মধ্যে অতিরিক্ত বিছনা পেতে গাদা-গাদি করে শুয়ে আছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালে না থাকায় একজন চিকিৎসক আর দুজন নার্স দিয়ে ওই ওয়ার্ডের চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

 

এছাড়া কর্মবিরতির অংশ হিসেবে রোববার দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গেটে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

অপরদিকে, রোববার সকাল থেকে জরুরি বিভাগসহ অন্য বিভাগের রোগীদের সেবা অব্যাহত রাখতে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মিড লেভেলের চিকিৎসকরা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তারপরও কয়েকটি ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিবেদক সাইফ আমীন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে ‘আপা’ ডাকায় সিরাজগঞ্জের কোনাগাতির আলাউদ্দিন সরকার নামের এক রোগীর ছেলে আবদুর রউফকে বেধড়ক মারধর করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

এ ঘটনায় শজিমেক শাখার সভাপতি ডা. এমএ আল মামুন, সহ-সভাপতি ডা. আশিকুজ্জামান আসিফ, সাবেক সহ-সভাপতি ডা. কুতুব উদ্দিন ও ডা. নূরজাহান বিনতে ইসলাম নাজ এর ইন্টার্নশিপ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। সেই সঙ্গে শাস্তি শেষে তাদের চারটি ভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ শেষ করতে হবে বলে ঘোষণা দেন কর্তৃপক্ষ।