অধিকারের প্রতিবেদন
  পরিবারে দুমুঠো অন্ন যোগাতে শিশুরা বিভিন্ন পেশায়
  12-02-2017

 

মোশতাক রাইহান

নানা উদ্যোগ আর আয়োজনের পরও যেন বেড়েই চলছে শিশু শ্রম। লাখ লাখ শিশু শ্রম দিচ্ছে কল কারখানা, গ্যারেজে, রিকশায় ওয়ার্কশপে। অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা আর দারিদ্রের জন্যই বেড়েই চলছে শিশু শ্রম। জীবিকার তাগিদে জীবনের শুরুতেই কোমলমতি শিশুরা মুখোমুখি হচ্ছে কঠিন বাস্তবতার। যে বয়সে হাতে থাকার কথা বই-কলম।

সেই বয়সেই হাতে তুলে নেয় কঠোর শ্রমের হাতিয়ার। দিনে পর দিনে বাড়ছে জনসংখ্যা আর বাড়ছে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা। পরিবারকে দুমুঠো অন্ন আর অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করতে যোগ দিতে বিভিন্ন পেশায়। এদের মধ্যে অনেক শিশুই ঝুঁকির্পূণ পেশায় নিয়োজিত।

শিশু শ্রম নিরসনে নেই কোন কার্যকর উদ্যোগ। আমাদের দেশে স্কুল পড়ুয়া শিশুদের বৃহৎ একটি অংশ বিদ্যালয়ে যায় না। প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে স্কুলে গমন করতে পারে না।অনেকেই বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও চালিয়ে যেতে পারেনা পড়ালেখা। অর্থাভাবে থেমে যায় পড়াশোনা।

পরিবারে অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে গিয়ে বিসর্জন দিতে হয় তার শিক্ষাজীবন। পরিবারকে সাহায্য করার জন্য অল্প বয়সেই কাজে নিযুক্ত হতে হয় অধিকাংশ শিশু। মাছের ভাড় শ্রমিক, ওয়ার্কশপের কারিগর,মিস্ত্রি, মাটি কাটা, রিকশা চালানো,গাড়ির হেলপার, ঠেলা গাড়ি-ভ্যানগাড়ি চালানো, হোটেলবয়সহ বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে এসব কোমলমতি শিক্ষার্থী। শিশু শ্রম কমিয়ে আনতে হলে প্রয়োজন সুনির্দিষ্টভাবে আইনের প্রয়োগ এবং শিশুদের জন্য সুবেবস্থা।