গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ):: মানাধিকার খবর | আসনের সংসদ সদস্য (এমপি)নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের নিরাপত্তাকর্মীদের ছুটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তার বড়ভাই শহিদুল ইসলাম। একইসঙ্গে তিনি জানতে চেয়েছেন কে ওই নিরাপত্তাকর্মীদের ছুটি দিয়েছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে এমপি লিটনের মরদেহ আনা হলে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন প্রশ্ন করেন।
শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তার শত্রুদের বিষয়ে আমার ধারণা নেই। তবে এলাকার কোনো লোক তাকে হত্যা করতে পারে না। বাইরে থেকে লোক এনে হত্যা করা হয়েছে।’
এমপি লিটনকে হত্যা করার পরিকল্পনা কেউ করলে তা সে জানতে পারতো এমন কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কেন লিটন এই হত্যার পরিকল্পনা জানতে পারলো না সেটাই আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে।’
শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘লিটনের অনেক ক্যাডার ও সমর্থক ছিল। এমন ঘটনা ঘটার আগে ও পরে কেন তারা এগিয়ে গেলো না বা তাদের কে যেতে দেয়নি সেটাই আমার প্রশ্ন?’
এমপি লিটনের বড় ভাই দাবি করেছেন, লিটনের পিস্তল থেকে যে শিশুকে গুলি করা হয় তা লিটনের কাছের লোকেরা করেন। কারণ লিটন তখন নেশাগ্রস্ত ছিল। ওই সময় যারা লিটনকে ফাঁসিয়ে দিয়েছিল তাদেরও সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন লিটনের বড় ভাই শহিদুল।
তিনি বার বার একটা কথা বলছিলেন যে, ‘লিটনের অনেক লোক ছিল। এলাকায় কী হচ্ছে তা সব লিটন জানতো। তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা তার জানার কথা ছিল। কিন্তু কেন জানতে পারলো না। তাকে কারা জানতে দেয়নি?
সবশেষে শহিদুল ইসলাম জানান, জামায়াত নেতা গোলাম আযম একবার মিটিং করতে গিয়েছিল এলাকায়। তখন লিটন ছাত্রলীগ নেতা। সেই সময় লিটন তাকে বাধা দেয়। গোলাম আযম তাকে দেখে নেওয়ার কথা জানান।
|