লাইফস্টাইল
  কৃষিকাজের প্রতি কৃষকের অনিহা বিলীণ হচ্ছে আবাদী জমি
  06-12-2016



বাংলাদেশ কৃষি প্রধানদেশ। একসময় ৮৫% লোক কৃষিকাজের উপর নির্ভর ছিল। কিšদ কালের ব্যাবধানে কৃষি তথা কৃষিজমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গাজীপুর জেলা বর্তমানে শিল্পনগরী হিসেবে আমাদের সবার নিকট সু পরিচিত। গাজীপুরের সর্বত্র শিল্প- কারখানা, ঘড়বাড়ী, আর বিভিন্ন ¯দাপনা গড়ে উঠেছে জেলার বিভিন্ন ¯দানে দ্রুতবেগে। কারণ গাজীপুর জেলা বর্তমানে বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে ঘনবসতি ও শিল্পনগরী এলাকা। কাজের অনুসন্ধানে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন জেলার লোকজন এখানে এসে ভিড় জমাচ্ছে। আর সেই ল্েয তৈরী হচ্ছে অতিরিক্ত ঘড়বাড়ি। ঘড়বাড়ি বৃদ্ধি করা হলেও জমি বাড়ছে না, এ কারনে আবাদি জমিতে আবাদের পরির্বতে তৈরী হচ্ছে নানান ¯দাপনা ও কলকারখানা। এজন্য প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে কৃষিজমি। সারাবছরে কি পরিমান জমি কমে যাচ্ছে তা জেলা কৃষি বিভাগের নিকট জানা যায়নি। গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে ওঠেছে শিল্প কারখানা ঘর ,বাড়ি, রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন রকমের ¯দাপনা। এসব কারনে প্রতিবছর কৃষিজমির পরিমান কমে যাচ্ছে, সেই সাথে কৃষক তার কৃষি কাজে অমনযোগী হয়ে পড়ছে। কৃষি জমি  হ্রাস  রোধে  সরকারের কি কোনো পদপে নেই? জেলাকৃষি বিভাগের তথ্য মতে ১৮০৬.৩৬ বর্গ কি: মি: আয়তনের গাজীপুর জেলায় আবাদী জমির পরিমান ১১২০৫৩ হেক্টর মাত্র। তবে এ হিসাব সর্বশেষ কবে করা হয়েছিল তা সাংবাদিকদের জানাতে পারেনি জেলাকৃষি বিভাগ। রাজধানী ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলায় সরকারী ও বেসরকারী ভাবে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের, কলকারখানা, রা¯দা-ঘাট হাটবাজার  সহ নানা রকমের ¯দাপনা। এধরনের পরির্বতনে বাড়তি চাপ পড়ছে আবাদী জমিতে। কারণ বাড়তি লোকের থাকার জন্য বাড়তি  জায়গার প্রয়োজন। সম্প্রতি গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে এ দৃশ্য ল করা যায়।  ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলাধীন শ্রীপুর উপজেলার ময়মনসিংহগামী মহাসড়কের পাশে ছয়ফর মুকুলের বহূরূপকথার বেলাভূমি  লবলঙ সাগর। এর দুপাশে অনেক লোক বাস করে। আদিকাল থেকে এ মৃত সাগরে দু পাশের প্রায় ল কৃষক কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। বর্তমানে এ সাগরে বেশকটি ফ্যাক্টরী তৈরী হয়েছে। এর মধ্য রয়েছে রং ফ্যাক্টরী। এ কারখানা থেকে রাসায়নিক ক্যামিকেল যুক্ত পানি এসব আবাদী জমিতে আসার কারনে ধান ভালো উৎপন্ন হয় না।  শ্রীপুরের একজন প্রবীণ লোকের সাথে কথা বলে জানা যায় সেটেলমেন্টের রেকর্ডের পূর্ব থেকে এ মৃত সাগরে আবাদ চলছে যা প্রায় দুইশত বছরের আগের কথা। এ সাগরটি বর্তমানে সকলের নিকট খাল নামে পরিচিত। ¯দানীয় যেসব কৃষক ছিল তাদের নিজ নামে কমপক্ষে একশত বিঘা জমি ছিল। কৃষি ছিল তাদের প্রধান কাজ, যা ছিল একমাত্র আয়ের পথ। লবলঙ সাগরটি উত্তরে ভালুকার জামিদিয়া মাস্টার বাড়ি বিলাই জুরি খাল থেকে বারচুরি পর্যন্ত। অপর দিকে দেিণ হালদা নদীর মাধ্যমে টঙ্গীর তুরাগ নদীর সাথে গিয়ে মিশেছে। কিšদ কলকারখানা  ¯দাপন ও জনসংখার বাড়তি চাপের কারনে আবাদী জমি কমে যাচ্ছে। পরিবেশ আন্দোলন কর্মীদের মতে কৃষিজমি কমে যাওয়ার অন্যতম কারন  অপরিকল্পিতভাবে আবাসিক এলাকায় শিল্পকারখানা গড়ে ওঠা। এতে করে একদিকে যেমন ফসলী জমি কমে যাচ্ছ অপরদিকে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: মাসুদ রেজা সাংবাদিকদের জানান কৃষি জমি হ্রাস রোধে তাদের কিছুই করার নেই।