সাহিত্য ও সাময়িকি
  অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন
  01-11-2016

 

মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন:

 

১৯৯৩ সাল। দিনটা ২২ অক্টোবর। ইলিয়াস কাঞ্চন তখন বান্দরবানে, শুটিংয়ের কাজে। পরিবারের সদস্যরা ছিলেন ঢাকায়। ওই দিনই স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন, সন্তানেরা ভাড়া করা মাইক্রোবাসে রওনা হন কাঞ্চনের উদ্দেশে। পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী। শোকাক্রান্ত কাঞ্চন তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিনয় ছেড়ে সন্তানদের সঙ্গে পুরোটা সময় কাটাবেন। মুঠোফোনে এমনটাই জানালেন তিনি। তাহলে, অ্যাক্টিভিস্ট ইলিয়াসের ফিরে আসা? তিনি বললেন, ‘একজন সাংবাদিকের অনুপ্রেরণায় “নিরাপদ সড়ক চাই” সংগঠন গড়ে তুলি।’ বিষয়টা পরিষ্কারও করলেন। এক সাংবাদিক তাঁকে বলেছিলেন, আপনি যেমন আপনার স্ত্রীকে ভালোবাসেন, মানুষও আপনাকে তেমন ভালোবাসে। আপনি সবার অন্তরালে না গিয়ে বরং সড়ক দুর্ঘটনায় যেসব মানুষ মারা যাচ্ছে, তাদের জন্য কিছু করতে পারেন। যেই বলা সেই কাজ। ওই বছরেরই ১ ডিসেম্বর কার্যক্রম শুরু হয় ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর। উদ্দেশ্য, সচেতনতার মাধ্যমে সড়কে দুর্ঘটনার হার কমানো। মহাসমাবেশ, জনসভা, শোভাযাত্রা, সেমিনার, ব্যানার, ভিডিওসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষদের সচেতন করা হয় এ সংগঠনের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া স্কুলে স্কুলে গিয়ে ভিডিও’র মাধ্যমে দুর্ঘটনার কারণ দেখিয়ে সচেতন করা হয় শিক্ষার্থীদের। গড়ে তুলেছেন গাড়ি চালনার একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রও। ন্যূনতম এসএসসি পাস হলেই তিন মাসের ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নেওয়া যায় এই কেন্দ্র থেকে। অন্য চালকদের জন্যও রয়েছে নানা কার্যক্রম।

ইলিয়াস কাঞ্চন জানালেন, দেশে আগের চেয়ে দুর্ঘটনার হার কমেছে। তবে তা আরও কমিয়ে আনতে হবে। এ জন্য দোষারোপ না করে দুর্ঘটনার কারণ জানতে হবে এবং তা সমাধান করতে হবে।