অর্থনীতি-ব্যবসা
  কলকাতায় ‘আহারে বাংলা উৎসব’ বাংলাদেশের খাবার খেতে উপচেপড়া ভিড়
  01-11-2016

 

দিশা বিশ্বাস, কলকাতা থেকে:

 

গত ২১ অক্টোবর থেকে কলকাতার মিলনমেলা ময়দানে পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত খাদ্য উৎসব ’আহারে বাংলা’র বাংলাদেশ স্টলে ছিল উপচেপড়া ভিড়। উৎসবের উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

উৎসবে যোগ দিয়েছে দেশ বিদেশের ১০৩টি সংস্থা। এরমধ্যে রয়েছে ৩০টি রেঁস্তরা, ২৩টি প্রখ্যাত মিস্টির দোকান, তিনটি সরকারি সংস্থা। বাংলাদেশ , রাশিয়া, জার্মানি সহ আরও কয়েকটি দেশ যোগ দিয়েছে এই উৎসবে। মিলছে এখানে সাড়ে ৫’শ রকমের নানা খাদ্য সামগ্রী। ১৭০ রকমের রসগোল্লা। আর এই উৎসবে যোগ দেওয়া ভোজন রসিকদের জন্য খাওয়া দাওয়ার এলাহি বন্দোবস্ত করা হয়েছে। চারটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্যাভিলিয়নে তিনহাজার ভোজন রসিকদের একসঙ্গে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। থাকছে আমিষ ও নিরামিষ খাওয়ার ব্যবস্থাও।  রকমারি মিস্টির জন্য করা হয়েছে আলাদা ’মিস্টি বাংলা’ প্যাভিলিয়ন। আরও রয়েছে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয়ের আলাদা ’আহারে বিকিকিনি’ প্যাভিলিয়ন। এখানে ৩০টি সরকারি ও বেসরকারি খাদ্য সংস্থা তাদের খাদ্যদ্রব্য বিক্রিও করছে। 

তবে এবারের এই ’আহারে বাংলা’ উৎসবের  আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল  বাংলাদেশের স্টল। এই স্টলে প্রতিদিনই উপচেপড়া ভিড় ছিল। বাংলাদেশের কাচ্চি বিরিয়ানী আর বিভিন্ন পিঠাপুলির খাওয়ার  জন্য কলকাতার ভোজন রসিকরা লাইন দিয়ে কিনেছে বাংলাদেশী খাবার। ফলে প্রতিদিন বাংলাদেশের স্টল থেকে চাহিদা মাফিক খাবার সরবরাহ করতে পারেনি। বিশেষ করে খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি, ভূনা খিচুরি, চিকেন পাকোরা আর বাংলাদেশের বিভিন্ন পিঠার চাহিদা ছিল তুঙ্গে। বাংলাদেশ স্টলের এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রতিদিন তারা প্রথম পর্যায়ে ৫০০ প্লেট করে মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি, ভূনা খিচুরি  এবং একহাজার প্লেট পিঠা বিক্রি করার উদ্যোগ নিলেও সন্ধ্যার সন্ধ্যার আগেই তা শেষ হয়ে যায়। কাচ্চি বিরিয়ানি ১৮০, ভূনা খিচুরি ১৬০ রুপি করে প্লেট , চিকেন পাকোরা প্লেট ৫০ রুপি এবং পিঠাপুলি ৩০ রুপি করে পিচ বিক্রি হয়েছে। ফলে কলকাতার অনেক ভোজন রসিক বাংলাদেশের খাবার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশের এই স্টল তৈরি করেছে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপহাইকমিশন।