রাজনীতি
  সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মন্দিরে হামলা পূর্বপরিকল্পিত, দায় আছে পুলিশেরও
  01-11-2016

 

মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন:

 

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা এবং ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের ব্যর্থতা এবং অদক্ষতার কারণে এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। তাদের দূরদর্শিতার অভাব, উদাসীনতা এবং অবহেলা এ হামলার সুযোগ করে দিয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। হামলাকারীরা পূর্বপরিকল্পনা মতো এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা অতীতেও এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। গত ৩ নভেম্বর রাজধানীর মগবাজারের গুলফেশা প্লাজায় কমিশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন তিনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে হামলার বিস্তারিত তুলে ধরা হয় এ সংবাদ সম্মেলনে। এর আগে ২ নভেম্বর বুধবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দলের সদস্যরা হামলার শিকার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে প্রতিনিধি দলটি একটি তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার দিন সমাবেশের অনুমতি দিলেও প্রশাসন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না রাখায় এ হামলা ত্বরান্বিত হয়েছে। প্রতিবেদনের সুপারিশে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং নাসিরনগর উপজেলার পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের অদূরদর্শিতার বিষয়ে তদন্ত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, সন্দেহভাজন অপরাধীরা যে রাজনৈতিক দলের সদস্যই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।