রাজনীতি
  রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারীর অংশ গ্রহণ নিশ্চিতের দাবি
  01-11-2016

 

মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন:

 

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) নির্বাচন কমিশনের আরপিও’র শর্ত অনুযায়ী সব রাজনৈতিক দলে পর্যায়ক্রমে নারীদের ৩৩ শতাংশ অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছে। গত ১৯ অক্টোবর বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও): রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য অন্তর্ভুক্তির বর্তমান চিত্র ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। সংগঠনের সভানেত্রী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএনপিএস এর সহ-সভানেত্রী অভিনেত্রী আফরোজা বানু। আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর ও সাংবাদিক পারভীন সুলতানা ঝুমা।

বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রের নাগরিকদের অর্ধেক অংশ নারী। সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী নারী ভোটারের সংখ্যাও পুরুষের প্রায় সমান। কিন্তু দুঃখজনকভাবে রাষ্ট্র ও সমাজের কোনো ক্ষেত্রেই নারীর সম-অংশগ্রহণ চোখে পড়ে না, যদিও অর্থবহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর কার্যকর অংশগ্রহণ অপরিহার্য।

তারা বলেন, ২০০৯ সালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আরপিওর ৯০-এর খ-এর খ(২) অনুচ্ছেদে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ রাজনৈতিক দলের সব স্তরের কমিটিতে কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ সদস্যপদ নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং এই লক্ষ্যমাত্রা পর্যায়ক্রমে আগামী ২০২০ সাল নাগাদ অর্জন করার বিধান রাখা হয়। কিন্তু গত ৭ বছরেও এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি সাধিত হয়নি। বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি ও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারী আছেন যথাক্রমে ১২.৩৩, ১১.১১ এবং ৭.৬৯ শতাংশ। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত অন্য দলগুলোর বিভিন্ন কমিটিতে নারী উপস্থিতির হার আরো অনেক কম। আর ২০১৪ সালে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত এক জরিপ অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর তৃণমূলের কার্যনির্বাহী কমিটিগুলোতে নারী আছেন মাত্র ১- ২ শতাংশ।