রাজনীতি
  ভালো আছেন খাদিজা
  01-11-2016

 

মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন

 

সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার হামলার শিকার হয়ে জীবন সংকটে থাকা খাদিজা বেগম নার্গিসের শারীরিক অবস্থার উন্নতির দিকে। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খাদিজা বর্তমানে ভালো আছেন। লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়ার পরও তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন নাম ধরে ডাকলে সে চোখ খুলে তাকাচ্ছে। ক্ষীণস্বরে “আব্বু” বলে ডেকেছেন বলেও জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক মেডিকেল সার্ভিসেস ও মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. মির্জা নাজিমউদ্দিন বলেন, খাদিজা ভালো আছেন। ডান হাত ও পা নাড়াতে পারছেন। চোখ তুলে তাকাচ্ছেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কলেজছাত্রী খাদিজার উভয় হাতে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়েছে।  ১৭ অক্টোবর তার ডান হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। ডান হাতের সফল অস্ত্রোপচারের পর গত ৭ নভেম্বর বাম হাতেও অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়েছে। অস্ত্রোপচার শেষ হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এ তথ্য জানিয়েছেন খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া। মাসুক মিয়া বলেন, খাদিজা আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো আছে। 

উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে সিলেটের এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থার উদ্ধার করে খাদিজাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে সেদিন রাতেই তাকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হয়। ৪ অক্টোবর সকালে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর পরই কলেজের শিক্ষার্থীরা বদরুলকে পুলিশের হাতে সোদর্প করেন। পরদিন তাকে আসামি করে সিলেটের শাহ পরাণ থানায় মামলা করেন খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস। খাদিজাকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বদরুলকে বহিষ্কার করে। বদরুল হামলার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে। এ ঘটনায় সারাদেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে বদরুলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করে শিক্ষার্থীরা।