অর্থনীতি-ব্যবসা
  শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন
  01-10-2016

 

দিশা বিশ্বাস, কলকাতা থেকে:

 

রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মিয়মান বাংলাদেশ ভবন’এর নির্মান কাজের অগ্রগতি দেখতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী শান্তিনিকেতনে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত উপহাইকমিশনার জকি আহাদ। সেখানে হাইকমিশনার সহ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এই ভবণ নির্মাণের কাজ ঘুরে দেখেন। পরে হাইকমিশনার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক স্বপন কুমার দত্ত সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে বিশ্ব^ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের কাজ আগামি বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে শেষ হবে বলে জানান। এরআগে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রস্তাবিত নতুন ভবনের নকশা তৎকালিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সুশান্ত দত্ত গুপ্ত’র হাতে তুলে দিয়েছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার জকি আহাদ। এই নকশাটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই ভবন নির্মাণের জন্য ২ বিঘা জমি বরাদ্দ করেছে। ভবন নির্মাণের খরচ বহন করছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশ সরকার গত বছর এই ভবন নির্মাণের জন্য ২৫ কোটি রুপি প্রদান করেছে। প্রসঙ্গত, গত ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে  ভারতের তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর                  শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের প্রস্তাব গৃহীত হয়।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ভবনে থাকবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত  নানা ইতিহাস, গ্রন্থাগার, মিলনায়তন, বাংলাদেশ সম্পর্কে গবেষণার নানা তথ্য, চিত্রশালা সহ বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নানা স্মারক। থাকবে রবীন্দ্র নাথের বাংলাদেশ অবস্থানের নানা তথ্য, ইতিহাস, স্মারক এবং চিত্রাবলী।