রাজনীতি
  চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ফুল বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয় বৈকুণ্ঠপুর চা বাগান শ্রমিকদের পাওনা শোধ করার অঙ্গিকার করেছেন মালিকপক্ষ
  01-09-2016

নিজস্ব প্রতিবেদক :

 

শ্রীমঙ্গলের বৈকুণ্ঠপুর চা বাগান শ্রমিকদের রেশন-মজুরি পরিশোধ করা হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত  এক শুনানিতে মালিকপক্ষ এ অঙ্গীকার করেছে। এ সময় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন কমিশন মনে করে বিষয়টি মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এ বিষয়ে ২২ আগস্ট কমিশনের সম্মেলন কক্ষে চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক এর উপস্থিতিতে ফুল বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ আগস্ট কমিশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো ই মেইল বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (জামাকন) জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা সাঈদ প্রেরিত ইমেইল বার্তায় জানানো হয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, বৈকুণ্ঠপুর চা বাগানের শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।

বৈকুণ্ঠপুর চা বাগানের শ্রমিকরা দীর্ঘদিন থেকে রেশন-মজুরি বন্ধ থাকা এবং সাত মাস ধরে চা বাগানের হাসপাতাল বন্ধ থাকার বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চা বাগানের মালিক পক্ষ গত ১৭ মে লোকসান দেখিয়ে বাগানটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘদিন থেকে বৈকুণ্ঠপুর চা বাগানের শ্রমিকরা রেশন-মজুরি না পাওয়ায় অনাহারে অর্ধাহারে জীবন-যাপন করছেন।

এছাড়াও, গত ৭ মাসের বেশি সময় ধরে চা বাগানের হাসপাতাল বন্ধ থাকায় তারা কোনো ওষুধ পাচ্ছেন না। শ্রমিকদের ২৪ মাসের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা জমা না দিয়ে কর্তৃপক্ষ আত্মসাৎ করেছে মর্মেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে গৃহীত হওয়ার পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্যের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বৈকুণ্ঠপুর চা বাগানের শ্রমিকদের অবস্থা পর্যবেক্ষণে যান।

কমিশন মনে করে বিষয়টি মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এ বিষয়ে সোমবার কমিশনের সম্মেলন কক্ষে চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক এর উপস্থিতিতে ফুল বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।