রাজনীতি
  মানবতা ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম’র চল্লিশতম প্রয়াণ দিবস পালিত
  01-09-2016

নিজস্ব প্রতিবেদক :

 

সাম্য আর মানবতা, প্রেম ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বাঙালি জাতির মানবতার সংগ্রামে লিখনীর মাধ্যমে নিজেকে উজার করে দিয়েছেন এই কবি। একই সাথে মানুষ দ্রোহ আর প্রেমের ভাষা খুঁজে পেয়েছে এই বিদ্রোহী কবির কাছে। স্বাধীনতা সংগ্রামসহ জাতির ক্রান্তিলগ্নে কবির গান ও কবিতা সবসময় প্রেরণা জুগিয়েছে মুক্তিকামী মানুষকে। আজও সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ রুখতে এবং মানবমুক্তির পথ অন্বেষণে পথ প্রদর্শক জাতীয় কবি নজরুল। তিনি আমাদের জাতীয় কবি।

১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) জাতীয় কবির চল্লিশতম মৃত্যুবার্ষিকীতে সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে তাঁর পরিবার, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে সমাধি প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভার। সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে তার সাহিত্যেকর্মকে লালন করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের সমাধিতে আসেন কবি পরিবারের সদস্য, ভক্ত, অনুরাগী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। শ্রদ্ধা জানান কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে।

এ সময় নজরুল সাহিত্যকে পাঠ্যপুস্তকে আরো গুরুত্ব দিয়ে তার চেতনাকে আরো ছড়িয়ে দেয়ার কথা জানান পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা।

প্রয়াণ দিবসে নজরুলকে জানা আর তাঁর শিক্ষায় দীক্ষিত হওয়াই হতে পারে বিদ্রোহী এ কবির প্রতি সবচেয়ে বড় সম্মান প্রদর্শন- বলে জানান তার পরিবারের সদস্য নাততি খিলখির কাজী।

নজরুলের অসাম্প্রদায়িক চেতনা উগ্র ও সন্ত্রাসবাদ দমনের পাশাপাশি অশুভ শক্তি প্রতিহত করতে নজরুলের চেতনাকে লালন করার কথা জানান রাজনীতিবীদগণ।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি সমাধি প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

গবেষক এবং নজরুল সংশ্লিষ্টদের মতে শত বছর পর এসেও বর্তমান বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থার উত্থানের এ সময়টায় অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক উন্নত শির নজরুল বলে জানান গবেষক শামসুজ্জামান খান।

কবি দেহত্যাগ করেছেন চার দশক আগে; চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন এ বাংলাতেই। কবি নেই, কিন্তু রয়ে গেছে তার সৃষ্টিকর্ম। সর্বস্তরে নজরুল চর্চাই জাতীয় কবির প্রতি সবচেয়ে বড় শ্রদ্ধার পরিচয়।