অর্থনীতি-ব্যবসা
  ভারতে পাচারের শিকার ৪ কিশোর-কিশোরী বাংলাদেশে
  01-07-2016

 

কলকাতা প্রতিনিধি:

                            

বছর দুই আগে ভারতের রাজধানী দিললিতে দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে ভারতের রাজধানীতে আসা চার বাংলাদেশী কিশোরকিশোরীকে ১৬ জুন বিকেলে ভারত সরকারের সহযোগিতায় ফেরত পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশে।

ওইদিন বিকেলে হরিদাসপুর- বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে এই চার বাংলাদেশী কিশোরকিশোরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। এই চার বাংলাদেশীর মধ্যে রয়েছে একটি কিশোরী ও ৩টি কিশোর। এদের বয়স এখন ১২-১৩ বছর। প্রায় দ’ুবছর আগে এরা দিললিতে এসে গ্রেপ্তার হয় পুলিশের হাতে। পড়ে তাদের তুলে দেওয়া হয় দিললির সরকারি চিলড্রেন হোমস’এ। এরপরে এই কিশোরকিশোরীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেয় দিললির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মাই হোম ইন্ডিয়া। তারা যোগাযোগ করে ঠিকানা পায় এই চার বাংলাদেশীর। এই চার বাংলাদেশীর বাড়ি পিরোজপুর, নাটোর এবং ঢাকা জেলায়। বিভিন্ন সময় এরা দালারদের হাত ধরে তাদের প্রলোভনে পড়ে অবৈধভাবে কলকাতা হয়ে  দিললিতে আসে।

দিললির মাই হোম ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সুনীল দিওধর তাঁর মাই হোম ইন্ডিয়া’র চার কমকর্তাকে নিয়ে রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনে করে দিললি থেকে কলকাতা এসে সোজা চলে যান বেনাপোল সীমান্তে। তারপর এই চার কিশোরকিশোরীকে বিএসএফ’এর মাধ্যমে তুলে দেন বাংলাদেশের সীমান্ত রখ্যী বিজিবির হাতে। 

বিকেলে মাই হোম ইন্ডিয়া’র কর্ণধার সুনীল দিওধর বলেন, গত দুই বছরের বিভিন্ন সময় এই চার কিশোর কিশোরী দিললির পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। পরে তাদের রাখা হয় সরকারি চিলড্রেন হোমস’এ। চিলড্রেন হোমস’এ এই চার কিশোরকিশোরীর খবর পেয়ে তারা যোগাযোগ করে বাংলাদেশে ওই কিশোরকিশোরীদের অভিভাবকদের সঙ্গে।

এই চার বাংলাদেশীকে দিললি থেকে কলকাতায় এনে ফেরত পাঠানো হয় বাংলাদেশে। তবে মাই হোম ইন্ডিয়ার কর্ণধার সুনীল দিওধর ওই চার বাংলাদেশীর নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।