রাজনীতি
  ‘সময়’ চান সু চি মানবাধিকার বঞ্চিত রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান আর কতদুর?
  02-06-2016

নিজস্ব প্রতিবদেক : 

রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে ‘সময়’ চেয়েছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেতা বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি। ২২ মে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে বৈঠকের পর রাজধানী নে পি দোতে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সু চি এ কথা বলেন। বৈঠকে কেরি মিয়ানমারের নেতাকে দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নের দিকে জোর দেয়ার আহ্বান জানান। খবর বিবিসি।

২০১২ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের সঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের দাঙ্গা শুরু হয়। ভয়াবহ ওই দাঙ্গা এবং পরের কয়েকটি দাঙ্গায় ১ লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হন।

অপরদিকে মিয়ানমারের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ ও প্রায় স্বচ্ছ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সু চি ও তার দল নভেম্বরে দেশটির নতুন গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করেন। এতে অর্ধশতাব্দী ধরে চলা মিয়ানমারের সামরিক শাসনের অবসান হয়। 

গেল সপ্তাহে মিয়ানমারের উপর থেকে বেশ কিছু অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু মানবাধিকার ও সামরিক প্রভাবের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি থাকায় মূল নিষেধাজ্ঞাগুলো বহাল থাকে।

সু চির সঙ্গে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সু চির সঙ্গে তিনি ‘খুব স্পর্শকাতর’ ও ‘বিরোধপূর্ণ’ রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন।

কেরি বলেন, “আমি জানি এটি এখানে তীব্র আবেগের কারণ হয়। সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা হবে তা নির্ধারণ করা বেশ জটিল। এর মধ্যে ঘটনাস্থলের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে, উন্নয়নে জোর দিতে হবে, মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং রাখাইন রাজ্যসহ মিয়ানমারে যারাই বসবাস করেন সবার সুবিধার দিকে নজর দিতে হবে।”

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মিয়ানমারে ব্যাপক বিরোধিতা বিদ্যমান। এদের মধ্যে সু চির নিজ দলেরও অনেকে আছেন।

রোহিঙ্গাদের এরা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে দেখে থাকে। এই কারণে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও মৌলিক অধিকার দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে মিয়ানমার।

গেল সপ্তাহে মিয়ানমারে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত স্কট মার্শিয়েলকে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন সু চি।

কেরির সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন সু চি।

তিনি বলেন, “ক্ষুব্ধতার কারণ হয় এমন শব্দ ব্যবহার সমস্যার শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য সমাধানকে খুব কঠিন করে তোলে।আমরা যে সব সমস্যার মোকাবেলা করছি সেগুলো সম্পর্কে মানুষকে সজাগ হওয়ার এবং আমাদের সব সমস্যা সমাধান করার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”