অধিকারের প্রতিবেদন
  কালিগঞ্জে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী পাচারের অভিযোগ
  01-05-2016

সম্প্রতি সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মহেশ্বরপুর গ্রামে স্ত্রীর সন্তান না হওয়ায় স্বামী তার স্ত্রীকে নির্যাতন ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ভারতে পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশ্বরপুর গ্রামের আব্দুল আলিম গাজীর মেয়ে আফিয়া সুলতানা লিপি (২৪) এর সাথে একই উপজেলার উত্তর শ্রীপুর গ্রামের আবদুল্লাহ গাজীর ছেলে আব্দুর রশিদ (৩০) এর সাথে ২০০৯ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে দীর্ঘদিন তাদের সংসারে কোন সন্তান না হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য চলে আসছে। মাঝে মধ্যে স্বামী রশিদ গাজী স্ত্রী আফিয়া লিপির উপর অমানবিক নির্যাতন করে এবং পুনরায় বিয়ে করার অনুমতি চায়। আফিয়া তার স্বামীর কথায় রাজি না হওয়ায় স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি বিরাজ করতে থাকে। গত ৭ মাস পূর্বে রশিদ তার শুশুড়কে ডেকে স্ত্রী আফিয়া লিপিকে শুশুড় বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। তার গোপনভাবে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য পায়তারা চালায়। এখবর আফিয়া লিপি জানতে পেরে স্বামী রশিদকে মোবাইল করলে তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এক পর্যায়ে গত ২৮ মার্চ রশিদ তার শ্বশুর বাড়িতে যেয়ে তার স্ত্রী লিপিকে বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। গত ২৯ মার্চ বেলা ১১ টায় আফিয়া ভারতের একটি মোবাইল নম্বরে তার পিতা আবদুল আলিম গাজীর কাছে কান্নাকাটি করে তোমার জামাই আমাকে ভারতে পাচার করে রেখে পালিয়ে গেছে।

আফিয়ার পিতা এ সংবাদ পেয়ে রশিদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নেয় এবং তার মেয়ে ও জামাইযের কোন খোজ না পাওয়ায় এলাকাবাসীর কাছে জানতে পারে রশিদ তার স্ত্রীকে নিয়ে ভারতে গেছে। এ বিষয়ে আফিয়া লিপির পিতা আলিম গাজী স্থানীয় সাংবাদিক টি এম আব্দুল জব্বারকে নিয়ে কালিগঞ্জ থানায় অফিসার ইনচার্জ শেখ মতিউর রহমান এর কাছে তার মেয়ে ভারতে পাচারের বিষয়টি মৌখিকভাবে জানান। আলিম গাজী তার কন্যাকে উদ্ধার ও জামাই রশিদ গাজীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

রফিকুল ইসলাম, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) থেকে