মানব র্দুভোগ
  রাজধানীর ১৫ লাখ ভাড়াটিয়ার তথ্য পুলিশের হাতে
  01-05-2016

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে রাজধানীর প্রায় ১৫ লাখ বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার তথ্য জমা পড়েছে। সম্প্রতি বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার তথ্য চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের আহ্বানের প্রেক্ষিতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এতথ্য জমা পড়ে। ডিএমপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

সূত্র জানায়, রাজধানীর ৪৯ থানায় ১৯ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৩টি ফরম বিতরণ করে ডিএমপি। এর মধ্যে ১৫ লাখ ২৪ হাজার ১৭৩টি ফরম জমা পড়েছে। প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে একটি যুগোপযোগী ডেটাবেজ তৈরির কাজও শুরু করেছে পুলিশ। এজন্য একটি সফটওয়্যারও তৈরি করেছে ডিএমপি।

 

সূত্র আরো জানায়, রমনা বিভাগে বিতরণ করা ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩১৬টি ফরমের মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৩টি জমা পড়েছে। লালবাগ বিভাগ ১ লাখ ৫১ হাজার ৫২১টির মধ্যে ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৪২টি, ওয়ারী বিভাগে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৬৮১টির মধ্যে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৫১৮, মতিঝিলে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮৮টির মধ্যে ২ লাখ ৫৪ হাজার ২০৯টি, তেজগাঁওয়ে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯টির মধ্যে ১ লাখ ১ হাজার ১৭৪টি, মিরপুরে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ১০৩টির মধ্যে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮১৭টি, গুলশানে ২ লাখ ২৩ হাজার ৫৫৮টির মধ্যে ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৬৩টি এবং  উত্তরা বিভাগে ২ লাখ ৫ হাজার ৮৮৭টি ফরমের মধ্যে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৩৭টি ফরম জমা পড়েছে।

 

এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মারুফ হোসেন সরদার বলেন, যেসব বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়া এখনো ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পাননি তাদের নিকটস্থ থানা থেকে সংগ্রহ করতে থানায় থানায় মাইকিং করেছে পুলিশ। ৎ

 

এর আগে ২৮৭টি বিট পুলিশের মাধ্যমে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে ডিএমপি। প্রথম দিকে ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম অনুযায়ী পুলিশকে তথ্য দিতে অনীহা থাকলেও পরবর্তীতে ডিএমপি কমিশনার ও আদালতের নির্দেশে এই তথ্য সংগ্রহ চলমান থাকে।

 

প্রসঙ্গত, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে গত বছরের শেষ দিকে রাজধানীতে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে পুলিশ। এর পক্ষে-বিপক্ষে গণমাধ্যমে বক্তব্য ও পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগও আসে।

 

তবে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে পুলিশ কমিশনার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ১৫ মার্চের মধ্যে ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পূরণ করে পার্শ্ববর্তী থানায় জমা দেওয়ার অনুরোধ জানান। এসময় যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন ফরম জমা দেবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান পুলিশ কমিশনার। এরপরই পুলিশের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে রিট হয়। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত পুলিশের পক্ষেই রায় দেয়। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় আরেকটি রিট করা হলে সেটি এখনো আদালতে বিচারাধিন রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক