শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত   * মাদক কারবারে ককস বাজারের সাবেক এমপি বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি   * দিশেহারা সুগন্ধা দাশের পাশে দাঁড়াল চট্রগ্রামের জেলা প্রশাসন   * আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ;   * আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ;   * রশিদ মিয়া কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান ;   * কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে যে সকল প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন;   * বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলো মিয়ানমারের ৯ বিজিপি সদস্য   * ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দুর্গম সীমান্তে বিজিবি মহাপরিচালক   * টানা ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখ লাখ পর্যটক, হোটেলে কক্ষ না পেয়ে ভোগান্তি  

   সারাদেশ
সত্যকে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে ফিরোজা বেগম
  Date : 01-11-2017

॥ হাফিজুর রহমান, টাঙ্গাইল ॥

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের চিনা খোলা গ্রামের মো. মনিরুজ্জামানের স্ত্রী ফিরোজা বেগম তার দুই মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে দেলদুয়ার থানায় অভিযোগ করেন। দেলদুয়ার থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী/০৩ এর ১০/৩০ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। দেলাদুয়ার থানার মামলা নং-০৯। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, চিনা খোলা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. শরিফ, দারোগ আলীর ছেলে সাপচাঁন, ইয়াসিন মিয়ার ছেলে জব্বার মিয়া, ইমান আলীর ছেলে মোশারফ মিয়া বাসায় গিয়ে ফিরোজা বেগমের দুই মেয়ে মারুফা আক্তার (১৫) ও রুপা আক্তার (১৪) কে কুপ্রস্তাব ও স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়।

সরেজমিনে চিনা খোলা গ্রামের ফিরোজা বেগমের বাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যাইনি। কথা হয় তার পাশের বাসার শুকুর আলীর সাথে। তিনি বলেন, স্বামী বিদেশ থাকায় দীর্ঘদিন যাবত ফিরোজা বেগম অসামাজিক কাজ করে আসছে। আমরা তাকে বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। সে কখনও এসব কথা বোঝার চেষ্টাও করেনি। গত বছর ফিরোজা বেগমও পরকীয়তার সময় ধরা পরে তার বাসায়। শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে তা সমাধান করা হয়। কিন্তু তিনি যে বিষয়ে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা ও বানোয়াট।

ফিরোজা বেগম সত্যকে মিথ্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। ঘটনার দিন ফিরোজা বেগম তার বাসায় ছিলো না। তার দুই মেয়ের সাথে পাশের বাসার হযরত আলী ছেলে হাকিম ও জালাল মিয়ার ছেলে হাফিজুল এর সাথে দীর্ঘদিন যাবত প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক আছে। হাকিম ও হাফিজুল দুই মেয়ে বিয়ে করবে এটাও আমরা অনেকে জানি। তবে ঘটনার দিন আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. শরিফ, দারোগ আলীর ছেলে সাপচাঁন, ইয়াসিন মিয়ার ছেলে জব্বার মিয়া, ইমান আলীর ছেলে মোশারফ মিয়া ও সুখন উদ্দিনের ছেলে অসীম মিয়া ফিরোজা বেগমের বাসায় গিয়ে তার দুই মেয়ে ও হাকিম ও হাফিজুরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। পরে হাকিম ও হাফিজুর তাদের দুই বোনকে বিয়ে করবে বলে জানায়।

কিন্তু সেই সত্য ঘটনা ধামা চাপা দিয়ে ফিরোজা বেগম উল্টো ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। আবার প্রভাবশালী বলে অভিযোগ পত্রে অসীম মিয়ার নাম দেননি ফিরোজা বেগম। একই এলাকার আব্দুল রহিম মিয়া বলেন, ফিরোজা বেগম এর চালচলন ভাল না। সে কেন তার প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের খালি বাসায় রেখে বাপের বাড়ী চলে গেলেন। ঘরে ধরা পরে হাকিম ও হাফিজুর এর সাথে। থানায় অভিযোগ করলে তার মেয়েদের সাথে যাদের সম্পর্ক ছিলো তাদের নামে করবে। কিন্তু অন্যের বুদ্ধি শুনে ফিরোজা বেগম সত্যকে মিথ্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। এলাকাবাসীর পক্ষে আমির এর তীব্র নিন্দা জানাই। আব্দুর রহিম আরও বলেন, আমাদের গ্রামের মানুষ সহজ সরল বলে ফিরোজা বেগমকে এখনও এলাকায়
থাকতে দেওয়া হয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আরফান আলী ৭০ হাজার টাকা দাবি করেছেন। আমার মনে হয় টাকা না পাওয়ায় সমস্যাটা এখনও সমাধান হচ্ছে না।

শাহানাজ বেগম বলেন, ফিরোজা বেগম মাঝে মাঝে পরপুরুষের সাথে মটর সাইকেলে চলাচল করে। পরকীয়তার সম্পর্ক স্বামী মরিুজ্জামান জানতে পারায় সে দেশেও আসে না। এলাকার মান সম্মানের কথা ভেবে আমরা এর সমাধান চাই।

মোশারফ মিয়ার স্ত্রী স্বপ্না বেগম বলেন, আমার স্বামী এই এলাকার সকল সমস্যা সমাধান করে থাকে। কিন্তু সেদিনও গিয়েছিলেন সমাধান করার জন্য। সমাধান করতে গিয়ে নিজেকে আসামী হতে হলো। কম্পিউটারের মাধ্যমে নোংরা ছবি তৈরি করে থানায় আমার স্বামীর নামে অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার সমাধান জন্য আমাদের মেম্বার আরফান আলী ৭০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন। কিন্তু টাকা দিতে না করায় আমার কান্না করতে করতে চোখের কোনায় গাঁ হবে বলে হুমকি দেন ওয়ার্ড মেম্বার। পাশের বাসার সাপচাঁন মিয়ার ভাবি বিলকিস বেগম বলেন, ফিরোজা বেগমের দুই মেয়ের সাথে পাশের বাসার হাকিম ও হাফিজুরের সাথে দীর্ঘদিন যাবত প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক আছে। সেদিন রাতে ঘটনা আমার দেবর গিয়েছিলেন সমাধান করতে। কিন্তু ষড়যন্ত্রের জালে তিনি নিজেই আটকা পরলো।

এলাকার মজনু মিয়া বলেন, আমার ভাগিনা শরিফ মিয়াকে একই এলাকার মুকুল মিয়ার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর মারধর করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আগামরা এগিয়ে যাই। আমাকে দেখে মো. জাহাঙ্গীর বাঁশের লাঠি দিয়ে বাড়ী দিয়ে আমার দুটো দাঁত ভেঙ্গে ফেলেছে ও তার সাথে থাকা ৩২ হাজার টাকা সনি জেটু মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। যার বাজার মূল্য ৫০ হাজার টাকা।

এ ঘটনার পর আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত দেলদুয়ার থানায় মো. জাহাঙ্গীর সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩৭৯/৩২৬/৩০৭/৫০৬ ধারায় মামলা করেন। মামলা নং সিআর ২২৯, আসামীরা হচ্ছে চিনা খোলা গ্রামের মো. মুকুল মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০), আছর উদ্দিনের ছেলে হযরত আলী (৫৫), মনিরুজ্জামানের স্ত্রী মোছা. ফিরোজা বেগম, আছর উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন (৫০), নরা মিয়ার ছেলে হুমায়ুন কবীর (৪৬), হযরত আলীর ছেলে মো. হাকিম, জালাল উদ্দিনের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (২৫), আদম আলীর ছেলে মো. আককাছ আলী (৬০)।

এ বিষয়ে ফিরোজা বেগম বলেন, আমার মেয়েদেরকে কুপ্রস্তাব ও স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার বিচার চাই। আসামীদের শাস্তি দাবি করছি। এ বিষয়ে ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার আরফান আলী বলেন, এলাকাবাসীর সকলে মিলে সমাধান করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সমাধান করতে পারি নাই। দেলদুয়ার থানার এসআই মো. আরিফ মিয়া বলেন, তদন্ত শেষের দিকে। এখনও কোন আসামী আটক করা সম্ভব হয়নি।



  
  সর্বশেষ
৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত
মাদক কারবারে ককস বাজারের সাবেক এমপি বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি
দিশেহারা সুগন্ধা দাশের পাশে দাঁড়াল চট্রগ্রামের জেলা প্রশাসন
আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ;

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308