বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * গাজীপুরে জমি নিয়ে বিরোধ সংঘর্ষ,আহত ৫   * কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার ২০   * রাঙ্গামাটির কল্পনা চাকমা অপহরণ: ২৮ বছর পর মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত ;   * কক্সবাজারের চকোরিয়ার মাতামুহুরি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ২   * কর্মচারীদের বোরকা পরা ও নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ   * পঞ্চগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ   * বাণিজ্যিকভাবে আঠাবিহীন বারোমাসি কাঁঠাল চাষে লাখপতি সবুজ   * চট্টগ্রামের জেলাপ্রশাসক -পুলিশ সুপার ও সাতকানিয়ার ইউএনও-ওসিকে হাইকোর্টের ভর্ৎসনা;   * বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কােন উন্নতি দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র!   * কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে কে কোন প্রতীক পেলেন  

   জাতীয়
এক নজরে ঢাকা-দিল্লী ২২ চুক্তি
  Date : 14-04-2017

মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন!
মানবাধিকার খবর প্রতিবেদক
বিদ্যুতের ঘাটতি মোকাবেলায় ভারত নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশ। নেপাল ও ভুটানের মোট সম্ভাব্য পানিবিদ্যুতের পরিমাণ ১ লাখ ২০ হাজার মেগাওয়াট। অন্যদিকে ভারতের নিজস্ব সম্ভাবনাময় অব্যবহৃত পানিবিদ্যুতের পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ মেগাওয়াট। মিয়ানমারের সম্ভাব্য পানিবিদ্যুতের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মেগাওয়াট। মিয়ানমার থেকেও ভারত বিদ্যুৎ নেয়ার পরিকল্পনা করেছে।
এক্ষেত্রে ভারত চাইলে নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমার থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে বাংলাদেশের নির্মিত আন্তঃগ্রীড ব্যবহার করতে পারবে। বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এই গ্রীড ব্যবহার করে ভারত বাংলাদেশের চারদিকে পাটনা, গয়া, কলকাতা, আসাম, দিনাজপুর (ভারত), হাওড়া, জামশেদপুর সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ দিতে পারবে। নতুবা ভারতকে এ পানিবিদ্যুৎ নিতে যে গ্রীড নতুন করে বানাতে হবে তা শুধু ব্যয় বহুলই হবে না, এ গ্রীড এতো দীর্ঘ হবে যে তাতে সিস্টেমলসসহ ভল্টেজ ড্রপ হবে। আর আর্থিক ও কারিগরী দিক থেকেও তা লাভজনক হবে না বলে ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
কাজেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানি করার মধ্যে দিয়ে যে আন্তঃগ্রীড চালু করা হয়েছে-তা ভারতের জন্যই সবচেয়ে বেশি সুফল বয়ে আনবে। ভারত এ কারণেই ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ব্যয় করা কোটি কোটি টাকায় নির্মিত এবং ভবিষ্যতে নির্মাণ করা হবে এমন গ্রীড দিয়ে, এ দেশকে করিডোর বানিয়ে বিদ্যুৎ নিতে চায়। আর এতে ভারত এক অংশ থেকে আরেক অংশকে বিদ্যুৎ সংযোগে যুক্ত করতে আগ্রহী বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর থেকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সাবস্টেশন হয়ে ৫শ’ মেগাওয়াট এবং ত্রিপুরা থেকে ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে। আগামী ২০১৭ সালের মধ্যে আরও ৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে। এ ছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে ২০১৩ সালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুক্তি হয়েছে। এই কেন্দ্রটি নির্মাণে দুদেশের অংশীদারিত্বের কথা বলা হলেও বাস্তবে এ কেন্দ্রের পুরো নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতেই থাকবে। ভারতের এক্সিম ব্যাংক থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হবে। এ নিয়ে পরিবেশবাদীরা আন্দোলন করলেও সরকার নির্দিষ্ট স্থানেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে অনঢ়।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর চলমান ভারত সফরেই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে এক্সিম ব্যাংকের সাথে ঋণচুক্তি, ত্রিপুরা থেকে আরো ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি, নেপাল ও ভূটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি, বাংলাদেশ-ভারত-ভুটান-নেপাল চতুর্দেশীয় বিদ্যুৎ গ্রীড, ঝাড়খন্ডে অবস্থিত আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য সঞ্চালন লাইন করা এবং ভারতের রিলায়েন্সের এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার বিষয়ে চুক্তি ও সমঝোতা হবে।
ভারতের ত্রিপুরার সূর্য মণিনগর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিশালগড় মহকুমার কৈয়াঢেপা সীমান্ত হয়ে বর্তমানে প্রতিদিন ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে। এই পথে আরও ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। এর দাম নিয়ে এতদিন দুই দেশ সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি। এখন তা ঠিক হয়েছে। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে ৫ রুপি ৫৪ পয়সা। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ছয় টাকা ৩১ পয়সা। আর ভারতের আদানি গ্রুপ ঝাড়খন্ড প্রদেশে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ বাংলাদেশে প্রতি ইউনিট ছয় টাকা ৯৩ পয়সা দরে বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। যা অনেক বিশে বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, ভারতের নতুন আইন অনুযায়ী- নেপাল থেকে বাংলাদেশে সরাসরি বিদ্যুৎ আমদানির কোন সুযোগ রাখেনি দিল্ল­ী। নতুন আইনে ভারত কাউকে বিদ্যুতের ট্রানজিট দেবে না। তবে নেপাল বা ভূটান থেকে ভারত বিদ্যুৎ কিনে তা আবার বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে পারবে। যেহেতু ভারতের ভূমি ব্যবহারের বিকল্প নেই তাই ভারতের মাধ্যমেই বাংলাদেশ নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনার উদ্যোগ নিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আদানির প্রস্তাবটি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বোর্ড সভা অনুমোদন করেছে। সেটি এখন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য আসবে। আর রিলায়েন্সের ৭৫০ মেগাওয়াটের প্রস্তাবটিতে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে।



  
  সর্বশেষ
গাজীপুরে জমি নিয়ে বিরোধ সংঘর্ষ,আহত ৫
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার ২০
রাঙ্গামাটির কল্পনা চাকমা অপহরণ: ২৮ বছর পর মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত ;
কক্সবাজারের চকোরিয়ার মাতামুহুরি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ২

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308