মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * রশিদ মিয়া কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান ;   * কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে যে সকল প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন;   * বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলো মিয়ানমারের ৯ বিজিপি সদস্য   * ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দুর্গম সীমান্তে বিজিবি মহাপরিচালক   * টানা ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখ লাখ পর্যটক, হোটেলে কক্ষ না পেয়ে ভোগান্তি   * কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নারী মেয়র ডা. তাহসিন বাহার সূচনা আনুষ্ঠানিকভাবে তাহার দায়িত্বের সূচনা করলেন।   * চট্টগ্রামে এক্স-রে কক্ষে বিষধর সাপ   * ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: গণপূর্তমন্ত্রী   * ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: গণপূর্তমন্ত্রী   * পাহাড়ে জলে ফুল ভাসিয়ে নতুন বছরকে আমন্ত্রণ উৎসবের দ্বিতীয় দিন ‘মূল বিজু’; আর তৃতীয় দিন বিশ্রামের দিন বা ‘গইজ্যাপইজ্যা’ দিন।  

   রাজনীতি
সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না রামপালেই হবে বিদ্যুৎকেন্দ্র : প্রধানমন্ত্রী
  Date : 01-09-2016

বিশেষ প্রতিনিধি :

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কারণে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না। সুতরাং রামপালেই বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে। ২৭ আগস্ট বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। আন্দোলনের ‘খুটির জোর’ এতোদিন পাওয়া যায়নি। এবার আন্দোলনের খুটির জোর পাওয়া গেছে। বিএনপি নেত্রী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এসেছেন। আমার মনে হয় এটার মধ্যে ষড়যন্ত্র আছে। তাহলে এতোদিন বিএনপি নেত্রী বিরোধীতা করেননি কেন। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে যদি কোনো নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই থাকত, তাহলে তারা অনেক আগেই তা জনসম্মুখে প্রকাশ করত। বিরোধীতাকারীরা বলছেন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে নাকি সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কারণে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না।

রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি যে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি করবে না, তার ‘প্রমাণ’ দিয়ে এই প্রকল্প সরানোর দাবি প্রত্যাখান করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তব্যে বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য যা কিছু ভালো মনে হবে, আমি সেগুলো করবই। আপনারা আমার উপর বিশ্বাস রাখুন। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। আমি এমন কোনো কাজ আগেও করিনি, ভবিষ্যতেও করব না, যা দেশের এবং দেশের মানুষের সামান্যতম ক্ষতি করে।

শেখ হাসিনা বলেন, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হবে পৃথিবীর সর্বাধুনিক আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ফলে এতে সুন্দরবনের পরিবেশ-প্রতিবেশ ও মানুষের কোনো ক্ষতি হবে না। বরং এই প্রকল্প থেকে বছরে ৩০ কোটি টাকা সিএসআর আসবে। যা এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য ব্যয় হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এখানে যে কয়লা ব্যবহার করা হবে এর গুণগত মান অনেক উন্নত। এসব কয়লা আসবে অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। রামপাল নিয়ে আন্দোলনে অর্থায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, এই যে শত শত মানুষ জড় করে রোডমার্চ করে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ফুয়েল লাগে, উনারা ফুয়েল কোথা থেকে পাচ্ছেন?

এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা করে একদল পরিবেশবাদী এবং বাম দলের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের পর শনিবার এনিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সরকার প্রধান।

বাংলাদেশের অব্যাহত বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ এবং যৌক্তিক মূল্যে গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর জন্য রামপালে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

রামপালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতাকারীদের মূল বক্তব্য হচ্ছে, এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ গরান বন সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে ঠেলে দেবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আপনাদের সামনে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে প্রমাণ করে দিব, বাস্তবায়নাধীন রামপাল-বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি করবে না।”

আন্তর্জাতিকভাবে গভীর বনভূমির ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ না করার আইন থাকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের প্রান্ত সীমানা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে এবং বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হতে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।”

এই এলাকার বায়ুপ্রবাহ সুন্দরবনের বিপরীত দিকে- এই তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “সামান্য পরিমাণ ক্ষতিকারক বায়বীয় পদার্থও যদি নিঃসরণ হয়, তবে তা সুন্দরবনের দিকে নয়, উল্টোদিকে প্রবাহিত হবে।”

খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে ‘উদ্ভট, বানোয়াট এবং অসত্য’ উপাত্ত পরিবেশন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

খালেদা জিয়া তার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা ধ্বংস করবে। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “এ কথা মোটেই সত্য নয়। বরং, এটি নির্মিত হলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।” সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল মানুষের চুরি করে গাছ কাটার প্রয়োজন আর হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, “কোম্পানি থেকে বছরে ৩০ কোটি টাকা সিএসআর ফান্ডে জমা হবে। তা দিয়ে এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করা হবে। লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হবে।”

কয়লা পরিবহনের সময় সুন্দরবন এলাকায় শব্দ দূষণ এবং আলো দূষণ হবে খালেদা জিয়ার এই অভিযোগের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন শব্দ ও আলো দূষণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। গভীর সমুদ্র হতে কভার্ড বার্জে কয়লা পরিবহন করা হবে। বার্জে ব্যবহৃত হবে ঢাকনাযুক্ত কম শব্দযুক্ত ইঞ্জিন। ফলে পরিবেশ দূষণের কোনো সম্ভাবনা নেই। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শব্দ দুষণ নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা থাকবে। ১৪ কিলোমিটার দূরে শব্দ যাবে না। ২০০ মিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের কথাও বলেছিলেন খালেদা জিয়া, যার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “কিন্তু কত সংখ্যক কয়লাভিত্তিক প্ল্যান্ট চালু আছে, তা কি তার জানা আছে?

“যুক্তরাষ্ট্রের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রায় ৪০ শতাংশ আসে কয়লা থেকে। সেখানে ৭ হাজারের বেশি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু আছে।”



  
  সর্বশেষ
রশিদ মিয়া কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান ;
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে যে সকল প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন;
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলো মিয়ানমারের ৯ বিজিপি সদস্য
ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দুর্গম সীমান্তে বিজিবি মহাপরিচালক

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308