শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * খুলনার কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা সিন্দাইনি`র মৃত্যুতে জানিপপ চেয়ারম্যানের শোক   * কক্সবাজার জেলা পরিষদের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আল মারুফের যোগদান   * ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত   * মাদক কারবারে ককস বাজারের সাবেক এমপি বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি   * দিশেহারা সুগন্ধা দাশের পাশে দাঁড়াল চট্রগ্রামের জেলা প্রশাসন   * আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ;   * আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ;   * রশিদ মিয়া কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান ;   * কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে যে সকল প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন;   * বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলো মিয়ানমারের ৯ বিজিপি সদস্য  

   লাইফস্টাইল
গাইবান্ধায় ১৩৫ দিনে ৭ শতাধিক নারী নির্যাতনের শিকার
  Date : 01-07-2016

জয়ন্ত কুমার রায়, গাইবান্ধা  থেকে:

 

গাইবান্ধায় শিশু নির্যাতনের হার আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়েই চলেছে । এই জেলায় গত চার মাসে ৭শতাধিক নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। নির্যাতনের শিকার হয়ে ৫ গৃহ বধুর মৃত্যু ও ১ জনকে গলা কেঁটে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে ৩৯টি, এর মধ্যে স্বামীর নির্যাতনে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন ৫ গৃহ বধু সকল সহিংসতার ঘটনা শিশুদের উপর মানসিক প্রভাব ফেলছে। গাইবান্ধা জেলা পুলিশের একটি নির্ভরশীল সুত্র জানিয়েছে যে, চলতি বছরের ১জানুয়ারী থেকে ২০ মে পর্যন্ত সাড়ে চার মাসে শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে এই জেলার, জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে শিশু ও নারী নির্যাতনসহ হত্যাকান্ডের দিক থেকে প্রথম স্থানে রয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ, দিতীয় স্থানে সাদুল্যাপুর, তৃতীয় স্থানে জেলা সদর, চতুর্থ স্থানে সুন্দরগঞ্জ, পঞ্চম স্থানে সাঘাটা, ষষ্ঠ স্থানে ফুলছড়ি এবং সপ্তম স্থানে আছে পলাশবাড়ী উপজেলা। শুধুমাত্র থানায় গত সাড়ে ৪ মাসে শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে জেলাসদরে ১৫টি, সুন্দরগঞ্জে ১৪টি, সাদুল্যাপুরে ১৭টি, সাঘাটায় ৬টি সহ সর্বমোট ৬১টি। তবে এসব উপজেলায় কোন হত্যাকান্ড ঘটেনি। গাইবান্ধা জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পিপি সমীরন কুমার সরকার বলেন, প্রমিাসে গড়ে যৌতুক নিরোধ আইনে ২০টি মামলা হিসাবে গত সাড়ে ৪ মাসে জেলার ৭টি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৬৩০টি, যৌতুকের কারনে স্বামীর থেকে বঞ্চিত ৬৩০জন নারী বাদী হয়ে এই মামলা গুলো দায়ের করেছে। এই সকল ঘটনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামে শশুর জিল্লুর রহমানের বাড়ীতে জুই(২০) নামে এক গৃহবধুকে নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে তার পাষন্ড স্বামী-আব্দুল হালিম(৩৫)। এই উপজেলার শক্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা আনিসুর রহমান জানান, আম্বিয়া বেগম (২৮) নামে’র এক গৃহবধৃকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী শফিকুল ইসলাম। উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের শক্তিপুর গ্রামে গত ১০ মে/২০১৬ তারিখ রাত দেরটার দিকে এই হত্যাকান্ড ঘটে। স্বামীর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়। অপর দিকে সীমা (২০) নামে’র এক গৃহবধুকে বিয়ের ৪ বছরের মাথায় স্বামীর হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে। মাত্র ২০ হাজার টাকা যৌতুক না পেয়ে সীমাকে পিটিয়ে হত্যা করে তার স্বামী। নিহত সীমা গোবিন্দগঞ্জের কামদিয়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে এবং দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মাঝিয়ান গ্রামের রুবেল মিয়ার স্ত্রী। একই উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের বৈরাগী বাজার গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের মেয়ে এছমতারা বেগম (২৪) জানান, ৫/৬ বছর আগে তার সাথে একই গ্রামের সাদেক আলী সরকারের ছেলে আপেলের (২৮) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ছেলে পক্ষকে যৌতুক হিসাবে ২ লাখ টাকা দেন মেয়ে পক্ষ। বিয়ের কিছুদিন পরে আপেল আরোও ৩ লাখ টা যৌতুক হিসাবে দাবি করেন। পুনরায় যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় এছমতারার উপর চালানো হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এছমতারার ছোট ভাই আবু তালেব জানান, নির্যাতনের এক পর্যায়ে আপেল ও তার পরিবারের লোকজন ২২ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টার দিকে মাপিট করে এছমতারাকে তার কোলের শিশু সন্তানটিসহ বাড়ী থেকে বের করে দেন। পরে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এছমতারার কোলের ছেলে শিশুটির নাম তালহা (১)। এই ৪ গৃহবধুর মধ্যে ৩ জনই শিশু সন্তান রেখে মারা যান। এমনি ভাবে, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী, সাদুল্যাপুর, সাঘাটা, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ ও জেলা সদরসহ গাইবান্ধা জেলার পারিবারিক সহিংসতায় অতিষ্ট হয়ে অসংখ্য গৃহবধু সন্তান রেখে মারা যাচ্ছেন। গাইবান্ধা সদও আধুনিক হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত শিশু বিশেষজ্ঞআব্দুল মালেক জানান, এসকল ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় অনাথ হয়ে পরেছে এসব শিশুরা। বাবাসহ পরিবারের লোকজন পালাতক থাকার কারনে তাদের দেখা শুনা করার মতো তেমন কেউ নেই। শিশু কালে বাবা-মা’র আদর ¯েœহ থেকে বঞ্চিত হওয়ার ফলে এসব শিশুর উপর মানসিক প্রভাব পরতে পারে। গাইবান্ধা জেলা শিশু ও নারী নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের এপিপি আব্দুল্লাহ কনক জানান, এসব ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশের তেমন কোন সফলতা দেখা যায় না। এমনকি নির্দিষ্ট সময়ে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেনা। আবার অনেক সময় দেখা যায়, পুলিশ চার্জশীট দাখিল করলেও তাতে আসামী পক্ষের লোকজনকে স্বাক্ষী বানানো হয়েছে। এছাড়াও প্রভাবিত হয়ে রাষ্ট্র পক্ষের অনেক স্বাক্ষী আদালতে স্বাক্ষী দিতে আসেন না। উপযুক্ত প্রমানাদি না থাকাসহ নানা কারনে গুরুতর অপরাধ করেও অভিযুক্ত অনেকেই মামলা থেকে অব্যাহতি পাচ্ছেন। গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম জানান, শিশু ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় কোন ছাড় নেই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানা গুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



  
  সর্বশেষ
খুলনার কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা সিন্দাইনি`র মৃত্যুতে জানিপপ চেয়ারম্যানের শোক
কক্সবাজার জেলা পরিষদের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আল মারুফের যোগদান
৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত
মাদক কারবারে ককস বাজারের সাবেক এমপি বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308